ভাতারে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধারের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যভেদ করল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দম্পতিকে প্রথমে খুন করা হয়। পরে বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র ‘চুরি’ করেন তাঁদেরই তিন আত্মীয়। তবে কী কারণে খুন, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে সুপর্ণা চৌধুরী নামে এক মহিলা ভাতার থানায় এসে জানান, তাঁর বৃদ্ধ মাসি এবং মেসোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাঁরা বাড়িতে একলা থাকেন। খবর পেয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে যায় পুলিশ। বাড়ি বাইরে থেকে তালা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করেও কোনও লাভ না হওয়ায় তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। দেখে ঘরের মধ্যে পড়ে বৃদ্ধ, বৃদ্ধার দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিজিৎ যশ এবং তাঁর স্ত্রী ছবি, দু’জনের বয়সই ৭০ পেরিয়েছে। নিঃসন্তান দম্পতি বাড়িতে একাই থাকতেন। কে বা কারা তাঁদের খুন করলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগকারিণী সুপর্ণা পুলিশকে জানান, ওই দম্পতির সঙ্গে তাঁদের এক আত্মীয় মহুয়া সামন্তের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তাঁকে প্রথমে আটক করে। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন মহুয়া।
পুলিশি জেরার মুখে মহুয়া জানান, তিনি ও তাঁর দুই পুত্র মিলে শনিবার সকালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। একটি তার দিয়ে দু’জনকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। কেন খুন দম্পতিকে খুন করা হল? জেরায় মহুয়া জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল অনেক দিন ধরেই। শনিবার তিনি এবং তাঁর দুই পুত্র ওই দম্পতির থেকে টাকা চান। কিন্তু সেই টাকা না দেওয়াতেই দম্পতিকে খুন করেন তিন জন মিলে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ঘরের মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেন তাঁরা। অভিযুক্ত দুই ছেলের মধ্যে এক জন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। অন্য জন কলেজ পড়ুয়া। বাড়ি থেকে কী কী জিনিস খোয়া গিয়েছে এবং কী ভাবে খুন তা নিশ্চিত করতে ফরেন্সিক দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেন, বুধবার ধৃতদের আদালতে তুলে পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy