ক্ষুব্ধ পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র
ফের শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যদিও এ ক্ষেত্রে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নয়, নার্সদের খারাপ ব্যবহারকেই দায়ী করেছে ওই শিশুটির পরিবার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও নার্সদের খারাপ ব্যবহারের কথা মেনে নিয়েছে।
হাসপাতাল ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি কাটোয়ার রেল কোয়ার্টারের পশ্চিমপাড়ার রোহন হাঁড়ি জ্বর, সর্দির উপসর্গ নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যালের শিশু বিভাগে ভর্তি হয়। তার বয়স এক বছর সাত মাস। এই ক’দিন ধরে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল।
পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে প্রচণ্ড কাশি শুরু হয় রোহনের। সেই সময়েই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স শিশুটিকে ইঞ্জেকশন দিতে আসেন। কিন্তু কাশির মধ্যে রোহনকে ইঞ্জেকশন না দিতে অনুরোধ করেন পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, কথা না শুনেই ওই নার্স শিশুটিকে ইঞ্জেকশন দেন। রোহনের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। তাঁদের দাবি, ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে, রাত পৌনে বারোটা নাগাদ রোহন মারা যায়। তার পরেও অভিযুক্ত নার্স ফের তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।
মৃতের বাবা পিন্টু হাঁড়ি বলেন, ‘‘ছেলে মারা যাওয়ার পরে নার্সকে বিষয়টি জানাতে গেলে তিনি বলেন, ‘বেশ হয়েছে মরেছে’।’’ এর পরেই উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে। রোগীর পরিজনেরা ওই নার্সের শাস্তি দাবি করেন। পরে হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ শিশু বিভাগের সামনে গিয়ে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বুধবার সকালে পিন্টুবাবু হাসপাতাল সুপার ও বর্ধমান থানায় ওই নার্সের শাস্তি চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁয়ের দাবি, ব্যবহার ঠিক থাকলে অনেক সময় পরিস্থিতি জটিল আকার নেয় না। এই বিষয়ে ডাক্তার, নার্সদের আরও সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্ত নার্সকে শো-কজ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy