প্রতীকী ছবি।
ফের দুই খনি শ্রমিক সংগঠনের গোলমালে তেতে উঠল রানিগঞ্জের পিওর সিহারসোল কোলিয়ারি এলাকা। দিন পাঁচেক আগে কেকেএসসি-র কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছিল এই এলাকায়। এ দিন কেকেএসসি এবং এইচএমএস কর্মী-সমর্থকেরা পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন।
ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার ওই কোলিয়ারিতে ২৫ নভেম্বর কেকেএসসি-র কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভাঙচুর, পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছিল এইএমএসের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে তাঁদের সাতগ্রাম এরিয়া সম্পাদক তপন মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সদ্য এইচএমএসে যোগ দেওয়া উপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বে এলাকায় সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান চলছিল। তখন তৃণমূলের নামে উপেন্দ্রবাবুরা জয়ধ্বনি দিলে কেকেএসসি-র কর্মী বিবেক মণ্ডল প্রতিবাদ করেন। তখনই তাঁর উপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
বিবেকবাবুর অভিযোগ, ‘‘এইচএমএস তৃণমূলের সংগঠন নয়। তাই ওদের নামে জয়ধ্বনি দিতে বারণ করি। সে জন্য আমার উপরে চড়াও হয়। লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসায় বেঁচে গিয়েছি।” তপনবাবু দাবি করেন, ‘‘এইচএমএস-কে সামনে রেখে সিপিএম, বিজেপির লোকেরা আমাদের সংগঠন ভাঙতে চাইছে।”
যদিও হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন উপেন্দ্রবাবু। তাঁর দাবি, তাঁরা তৃণমূলেরই সমর্থক। তবে আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত সংগঠন কেকেএসসি ছেড়ে সম্প্রতি তাঁরা প্রায় ৮০ জন খনিকর্মী এইচএমএসে যোগ দিয়েছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘সাত জন কোলিয়ারির বাইরে সদস্য সংগ্রহ করছিলাম। বিবেকের নেতৃত্বে জনা পনেরো বহিরাগত চড়াও হয়। আমাদের তিন জনকে মারধর করা ছাড়াও সদস্য সংগ্রহের ফর্ম ও খাতাপত্র ছিঁড়ে দিয়েছে ওরা।’’ নিমচা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
দলের বিরুদ্ধে ওঠা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রানিগঞ্জের সিপিএম নেতা রুনু দত্ত ও বিজেপি নেতা সভাপতি সিংহ। দু’জনেরই দাবি, তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই বারবার গোলমাল পাকছে এলাকায়। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘কী ঘটেছে, তা পুলিশ-প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’’ পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy