রানিগঞ্জ স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
কর্মী আবাসনে থাকেন না, এমন রেলকর্মীদের ‘প্রাপ্য’ ১৬ শতাংশ ‘আবাসন ভাতা’ মেলে না। এমনই নানা অভিযোগে শুক্রবার দিনভর রানিগঞ্জ স্টেশন চত্বরে অবস্থান, বিক্ষোভের কর্মসূচি নিল ‘ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়ন’ (ইআরএমইউ)।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেলবোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবাসনে থাকেন না, অথচ, পুরসভা এলাকায় থাকেন এমন রেলকর্মীরা মাইনের ‘বেসিক’-এর ১৬ শতাংশ আবাসন ভাতা পান। সংগঠনের সদস্যদের দাবি, আসানসোল থেকে কালীপাহাড়ির রেলকর্মীরা সেই ভাতা পান। কিন্তু পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রানিগঞ্জ শাখায় কর্মরত প্রায় দু’শো জন রেলকর্মী সেই ভাতা পান আট শতাংশ, অভিযোগ এমনই।
রেলকর্মী আবাসনগুলির হাল নিয়েও সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা জানান, পর্যাপ্ত পানীয় জল মেলে না। চতুর্দিকে আগাছা গজিয়েছে। সাফ হয় না নর্দমা। তা ছাড়া, বক্তারনগর থেকে নিমচা পর্যন্ত রেললাইনে ৩৮ জন ‘গ্যাংম্যান’ কাজ করলেও, লাইনের ধারে তাঁদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ছাউনি দেওয়া কোনও জায়গা নেই। এমনকি, লাইনের উপরে বসেই খাবার খেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে বছরখানেক আগে ট্রেনের ধাক্কায় এক কর্মীর মৃত্যুও হয় বলে রেলকর্মীদের দাবি।
রানিগঞ্জ শাখায় কর্মরত কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের ‘পোশাক-ভাতা’ ঠিক সময়ে দেওয়া হয় না। উপযুক্ত পরিচয়পত্র না থাকায় রেলের হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রেও তাঁরা অসুবিধায় পড়েন।
পাশাপাশি, রানিগঞ্জে রেলের পার্সেল ও বাণিজ্যিক বিভাগ একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনের দাবি। এর জেরে ওই দুই বিভাগে সরকারি নিয়োগ বন্ধ হবে বলে কর্মীদের একাংশের আশঙ্কা। ইআরএমইউ-র নেতা সুধীর রায়, অনিল সিংহেরা জানান, রেলে কর্মী সঙ্কোচন, বিভিন্ন বিভাগের বেসরকারিকরণের ‘চক্রান্ত’ চলছে।
পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক রাহুল রঞ্জন বলেন, ‘‘রেলকর্মীদের দাবিগুলির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy