দুর্গাপুর উপ-সংশোধনাগার। নিজস্ব চিত্র।
সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। প্রায় ছ’মাস ধরে সাইরেন খারাপ। তিন জন বিচারাধীন বন্দি পাঁচিল টপকে পালানোর পরে, দুর্গাপুর উপ-সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেআব্রু হয়ে পড়েছে বলে ধারণা অনেকেরই। যদিও নিরাপত্তার গাফিলতির কথা মানতে চাননি ডিআইজি কারা (বর্ধমান রেঞ্জ) শুভব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নিরাপত্তার অভাব ছিল বলে মনে করছি না। মানুষের ভুল।” তিন জন রক্ষীকে কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুর্গাপুর উপ-সংশোধনাগার থেকে ২০০৯-এও ছ’জন বন্দি পালিয়ে গিয়েছিলেন। রবিবার ফের তিন জন পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান।
এ দিকে, উপ-সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছ’মাস ধরে সাইরেন খারাপ হয়ে রয়েছে। সংশোধনাগারের পাঁচিলের পরে, ঘন ঝোপ-জঙ্গল রয়েছে। ফলে, পাঁচিল টপকে বন্দিরা সহজেই সেই জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে সময় বুঝে চম্পট দিতে পারেন। শুভব্রত যদিও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সাইরেন খারাপ হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। রাজ্যের সব সংশোধনাগারেই ধাপে-ধাপে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। দুর্গাপুরেও হবে। জঙ্গল সাফ করার বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, জঙ্গল সাফ করার কাজটি মূলত মুক্ত সংশোধনাগারের বন্দিরা করে থাকেন। কিন্তু করোনা-পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘ প্যারোলে ছুটিতে রয়েছেন তাঁরা। ধীরে-ধীরে তাঁরা ফিরছেন মুক্ত সংশোধনাগারে।
রাজ্যের সব সংশোধনাগারেই পর্যাপ্ত রক্ষীর অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। ডিআইজি কারা (বর্ধমান রেঞ্জ) বলেন, “পর্যাপ্ত সংখ্যক রক্ষী রাজ্যের কোনও সংশোধনাগারেই নেই। যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে মনে হচ্ছে এখানকার রক্ষীদের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।”
বর্তমানে দুর্গাপুর উপ-সংশোধনাগারে মোট ১৫৭ জন বন্দি রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy