ধর্মঘটে আলুর দাম চড়া। দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে। ছবি: বিকাশ মশান।
আনাজের বাজার কার্যত অগ্নিমূল্য। দাম নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে জেলার বাজারগুলিতে অভিযান চলছে। তার পরেও দাম কমেনি বলে দাবি ক্রেতাদের। এই পরিস্থিতিতে খুব অল্প পরিমাণ টাকায় পড়ুয়াদের পাতে কী ভাবে আলু দেওয়া যাবে তা নিয়েও চিন্তিত স্কুলগুলি।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মিড-ডে মিলের জন্য হাই স্কুলে বরাদ্দ ছাত্র পিছু ১০০ গ্রাম চাল ও ৮ টাকা ১৭ পয়সা। বর্তমানে ডিম, আনাজ সবেরই বাজার অগ্নিমূল্য। ভরসা ছিল আলু। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তিন দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করায় আলুর জোগান কমে যায় বাজারে। দামও বেড়েছে অনেক। অথচ, তরকারির জন্য ছাত্র পিছু প্রায় ১০০ গ্রাম আলু রাখতেই হয়।
বিভিন্ন স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সপ্তাহে প্রতি একশো পড়ুয়া পিছু গড়ে ১০ কেজি করে আলু লাগে। সামান্য কম বেশি করতে হয় বাজেটের দিকে লক্ষ্য রাখতে গিয়ে। দুর্গাপুরের একটি হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিন গড়ে ২২০ জন পড়ুয়া মিড-ডে মিল খায়। সপ্তাহে আলু লাগে ২০ কেজি। অন্য একটি স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬৩০ জন পড়ুয়ার জন্য গড়ে সপ্তাহে প্রায় ১২ বস্তা (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) আলু লাগে।
বুধবার দুর্গাপুরের বাজারে আলুর গড় দাম ছিল কেজি প্রতি ৫০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, তা-ও ২-৩ কেজির বেশি পাচ্ছেন না তাঁরা। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, জোগান নেই। মঙ্গলবার থেকে আলুর ট্রাক আসেনি। তাই এর বেশি দেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে আলুর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি গড়ে ১৫ টাকা।
দুর্গাপুর শহরের কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, যা আলু এখন মজুত আছে, তা দিয়েই কোনও রকমে কাজ চলছে। সাধারণত সপ্তাহের শুরুতেই সারা সপ্তাহের জন্য আলু তুলে রাখেন
তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, বাজারে যে কোনও আনাজের দাম এখন বেশ চড়া। ফলে, আলুর উপরে ভরসা করতে হয়। তা ছাড়া, যে কোনও তরকারিতে আলু অন্যতম প্রধান উপকরণ। তাই আলুর দাম নাগালে না থাকায় মিড-ডে মিল চালাতে নাভিশ্বাস অবস্থা, জানান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy