প্রতীকী ছবি
বাজারে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি চলছে। হিমঘরে গিয়ে আলু বেচাকেনার উপরে চোখ রাখছে কৃষি বিপণন দফতর। ভিন্ রাজ্যে আলু সে ভাবে পাঠানো যাচ্ছে না, দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তার পরেও পূর্ব বর্ধমানে জ্যোতি আলুর কেজি প্রতি দাম ৩০-৩৫ টাকাতেই ঘোরাফেরা করছে। খুচরো বা পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের দাবি, চাষিদের বেশি দাম পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আলুর বন্ড নিয়ে নিচ্ছে ফড়েরা। তার পরে, দামের উপর নিজেদের কমিশন চাপিয়ে হিমঘরের চাতাল থেকেই বেশি দামে আলু বিক্রি চলছে। ফল, রাজ্যের অন্যতম আলু উৎপাদনকারী জেলাতেও দাম কমছে না।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি, খুচরো বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে আলু বিক্রি করবেন তাঁরা। কালনা শহরে সোমবার শিবিরও করা হয়। সংগঠনের এক কর্তা সাগর সরকার বলেন, “কার্জন গেটের কাছে ম্যান্ডেলা পার্কেও বাছাই করা আলু ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। সংগঠন প্রতি কেজিতে এক টাকা করে ভর্তুকি দেবে। প্রত্যেক ক্রেতাকে এক-দু’কেজি করে আলু দেওয়া হবে। প্রতিটি শাখা সংগঠনকে কম দামে আলু বিক্রি করার জন্য বলা হয়েছে।’’
সোমবার দুপুরে ওই সংগঠনের কর্তারা জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতীর সঙ্গে দেখা করে কম দামে আলু বিক্রির জন্য সহযোগিতা চান। একই সঙ্গে ভিন্ রাজ্যে আলু বিক্রি করতে গিয়ে তাঁদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, সরকারের উৎসাহের জন্যই ভিন্ রাজ্যে আলু রফতানি শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এখন বীজ আলু বা গুণগত মান তুলনামূলক ভাবে খারাপ এমন আলু পাঠাতে গিয়ে গাড়িগুলিকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটছে। এতে দু’পক্ষেরই ক্ষতি। লিখিত ভাবে সমস্যার কথা জানালে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলাশাসক।
মাসখানেক ধরে জ্যোতি আলুর দাম প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকাতেই ঘুরছে। দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসন বিভিন্ন স্তরে বৈঠক করে। টাস্ক ফোর্স গড়া হয়। অভিযান চলে হিমঘরে। কিন্তু প্রশাসনিক পদক্ষেপের পরেও হিমঘরের চাতাল থেকে ৫০ কেজির আলুর প্যাকেট ১,৪০০-১,৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই আলুই খুচরো বাজারে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা যায়, হিমঘরে মজুত চাষিদের আলু বিক্রির জন্য ফড়েরা নেমে পড়েছে। তারাই চাষিদের কাছ থেকে আলুর বন্ড কিনে পাইকার-ব্যবসায়ীদের বিক্রি করে ‘কমিশন’ আদায় করছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীল ঘোষের দাবি, “প্রশাসনিক অভিযান চলায় ফড়েদের উৎপাত কিছুটা কমেছে।’’
কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিক (পূর্ব বর্ধমান) সুদীপ পাল বলেন, “সোমবার থেকে হিমঘর চাতালে ৫০ টাকা কম দরে আলুর প্যাকেট (৫০ কেজির) বিক্রি হয়েছে। লাগাতার অভিযানের ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। দু’-এক দিনের মধ্যে খুচরো বাজারেও আলুর দাম কমবে।’’ আলু ব্যবসায়ীদেরও দাবি, কম দামে আলু বিক্রি করা শুরু হলে খুচরো বাজারে তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy