তেলিপুকুরে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে দোকান। ছবি: উদিত সিংহ
বাঁশ দিয়ে ঘেরা যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে চলছে আনাজের দোকান। আর যাত্রীরা রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। আবার কোথাও প্রতীক্ষালয়ের ঘরটুকুই রয়েছে। চেয়ার উধাও। জিটি রোড বরাবর প্রায় ২০টি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের এমনই হাল। শহরবাসীর একাংশের দাবি, জিটি রোড সম্প্রসারণের সময়ে বহু প্রতীক্ষালয় ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ শেষেও, হাল ফেরেনি যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলির।
বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে নবাবহাট থেকে আলিশা এবং বীরহাটা থেকে তেলিপুকুর, এই দুই রুটে চলাচল করে টাউন সার্ভিস বাস। আলিশা থেকে নবাবহাট রুটে রয়েছে ২৬টি স্টপ। আলিশা থেকে তেলিপুকুর রুটে রয়েছে ২৪টি স্টপ। নবাবহাট, গোলাপবাগ, রাজ কলেজ মোড়, বাদামতলা, বীরহাটা, পুলিশ লাইন, তেলিপুকুরের মতো বড় স্টপগুলিতে যাত্রী প্রতীক্ষালয় গড়ে উঠেছিল। সুসজ্জিত যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে ছিল বসার ব্যবস্থা-সহ নানা পরিকাঠামো। কিন্ত বছর দু’য়েক আগে জিটি রোড সম্প্রসারণের কাজ শুরুর সময়ে ভাঙা পড়ে একাধিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়। যেগুলি টিকে রয়েছে সেগুলির হালও শোচনীয় বলে অভিযোগ। কোনওটি দখল হয়েছে, কোনওটির চেয়ার বেপাত্তা। কোথাও আবার রাখা হয়েছে সাইকেল, গাড়ি। অথচ, যাত্রীদের এই ‘হয়রানি’ নিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ।
শহর ঘুরে দেখা যায়, সব থেকে খারাপ অবস্থা তেলিপুকুরের। পুরসভার উদ্যোগে নির্মিত প্রতীক্ষালয় ঠিক থাকলেও, তার সামনে দোকান বসে গিয়েছে। বাঁশ, ত্রিপল দিয়ে মাচা বেঁধে ছাউনি করে চলছে বিকিকিনি। আর যাত্রীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছেন অপেক্ষায়। বীরহাটার প্রতীক্ষালয়েরও একই হাল।
যাত্রীদের মধ্যে সোমা দে, সুমন্ত মোহন্তদের দাবি, প্রতীক্ষালয় তৈরির কিছু দিন পরেই চেয়ার হাওয়া হয়ে গিয়েছে। আর ফেরেনি। আবার বীরহাটা উৎসব ময়দানের পাশে যে বড় প্রতীক্ষালয়টি রয়েছে, তার সামনেও সকাল থেকে রাখা থাকে সাইকেল, মোটরবাইক। সাইকেল স্ট্যান্ড না প্রতীক্ষালয়, বোঝা যায় না।
বর্ধমান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে তেলিপুকুর অঞ্চল। ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী শ্রেয়া সরকারের অভিযোগ, ‘‘বর্ধমান শহর ও দক্ষিণ দামোদর এলাকার সংযোগস্থল হল তেলিপুকুর। অথচ, এত জরুরি ব্যবসায়িক অঞ্চলে কোনও শৌচালয়, উপযুক্ত প্রতীক্ষালয় নেই। কোনও পরিকল্পনাও হয়নি। আমাদের ইস্তাহারে বাসস্টপগুলি সাজানোর কথা বলে হয়েছে।’’ বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের পাল্টা দাবি, ‘‘যাত্রী প্রতীক্ষালয়, যাত্রী স্বাছন্দ্য নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy