—প্রতীকী ছবি
কেতুগ্রামে দলীয় জনসভা উপলক্ষে সোমবার রাতেই কাটোয়া শহরে পৌঁছনোর কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তারই আগে দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে বিবাদের জেরে সংঘর্ষ বাধল বিজেপি ও তৃণমূলে। রবিবার রাতে কাটোয়া শহরের স্টেশনবাজার এলাকার ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচ জন জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কাজল মাঝি নামে এক বিজেপি কর্মীকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তারক ঘোষ নামে এক তৃণমূল কর্মীর পায়েও গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের বাড়ি যথাক্রমে শহরের চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশের দাবি, গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার কেতুগ্রামের কান্দরায় জনসভা করার কথা দিলীপ ঘোষের। সোমবার রাতেই কাটোয়া শহরের একটি হোটেলে উঠবেন তিনি। সে কারণেই শহরে ঢোকার মুখে বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে স্টেশনবাজার, কাছারি রোড-সহ নানা জায়গায় দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, স্টেশনবাজার চৌরাস্তা এলাকায় পতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁদের। মারামারিও হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের উপরে লাঠি-সোঁটা নিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ। আহত বিজেপি কর্মী কাজল মাঝির দাবি, ‘‘রাজ্য সভাপতি শহরে আসবেন বলে আমরা রাস্তার ধারে পতাকা লাগাচ্ছিলাম। তা দেখা মাত্রই তৃণমূলের লোকজন এসে বাধা দেয়। প্রতিবাদ করতেই ওরা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপরে হামলা করে। চার জন জখম হন। আমার মাথায় আঘাত লেগেছে।’’ তৃণমূল কর্মী তারক ঘোষেরও দাবি, “অশান্তি বাধাতেই বিজেপি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের পতাকা খুলে রাস্তায় ফেলে দিয়ে ওদের পতাকা টাঙায়। সেই সঙ্গে নেতৃত্বের নাম ধরে গালিগালাজ করে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করলে, ওরা রাস্তায় আমাকে একা পেয়ে মারধর করে। পায়ে চোট পেয়েছি।’’
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি (কাটোয়া) অনিল দত্তের দাবি, “আমাদের কর্মীরা শহরে কোনও কাজ করলেই তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চায়। ওই দিন রাতে হামলায় আমাদের চার কর্মী জখম হয়েছেন।” পাল্টা কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘শহর অশান্ত করতেই বিজেপি কর্মীরা আমাদের পতাকা রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি দলনেত্রী ও আমার নামে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। পার্টি অফিসের দরজায় ইটপাটকেলও ছোড়া হয়। সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানান। তখনই ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy