প্রতীকী ছবি।
গ্রামীণ বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মন্তেশ্বরের সাহাজাদপুর গ্রাম। পুলিশকর্মীকে মারধর-সহ গোলমাল পাকানোর অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে চার জন মহিলা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের মাঝিপাড়া ও ঘোষপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে নানা কারণে রেষারেষি রয়েছে। মাঝিপাড়ায় একটি ক্লাব সরস্বতী পুজো করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘোষপাড়ার এক বাসিন্দা মাঝিপাড়ার ওই পুজো মণ্ডপের সামনে দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ, তিনি মোটরবাইক থেকে এক জনকে লাথি মারেন। সে নিয়ে গোলমাল বেধে যায়। দুই পাড়ার লোকজন জড়ো হন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোলমালের সময়ে ঘোষপাড়ার একটি বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ মেলে। সেই খবর পেয়ে পুলিশের একটি গাড়ি গ্রামে পৌঁছলে গোলমাল আরও বাড়ে। গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এক দল মহিলা। জিয়ারুল হক নামে এক পুলিশকর্মীকে মারধর করা হয়। তাঁকে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। পরে মাঝিপাড়ার বাসিন্দা চার মহিলা-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতদের শুক্রবার কালনা আদালতে তোলা হলে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ধৃতদের আইনজীবী রমজান আলি আদালতে দাবি করেন, ঘটনাটির পিছনে রয়েছে তৃণমূল-বিজেপির বিবাদ। মারধরে পুলিশকর্মীর গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগও তিনি মানতে চাননি। ধৃতদের এক আত্মীয় দশরথ মাঝির পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমাদের কেউ পুলিশকে মারধর করেননি। উল্টে, গ্রামের পুজো মণ্ডপে আনন্দ করা কিছু কিশোরকে পুলিশই মারধর করেছে।’’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।
ওই গ্রামের বাসিন্দা, বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা হাবিবুল শেখ দাবি করেন, ‘‘যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে আমাদের প্রভাব বেশি। পুলিশ আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। ওঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।’’ তৃণমূল নেতাদের অবশ্য দাবি, ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy