রানিনগর থানায় কামরুজ্জামান সরকার। নিজস্ব চিত্র
এত দিন জানা ছিল তার দু’টি বিয়ে। এ বার জিজ্ঞাসাবাদে বাড়ির লোকজন দাবি করলেন, তার বিয়ের সংখ্যা তিন। পরপর মহিলাদের খুনের অভিযোগে ধৃত কামরুজ্জামান সরকারের ক’টি বিয়ে, সে নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা, মেমারি ও হুগলির পাণ্ডুয়া এলাকায় একের পর এক মহিলাকে গলায় চেন পেঁচিয়ে ও মাথায় আঘাত করে খুনের অভিযোগে সপ্তাহখানেক আগে কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে ১২ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার তাকে কালনা থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদের রানিনগরে। সেখানেই ধৃতের বাড়ি। এ দিন তার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে পাওয়া তথ্য যাচাই করতে কামরুজ্জামানকে নিয়ে কালনার দুই পুলিশ আধিকারিক এ দিন রানিনগর থানায় পৌঁছন। ধৃতকে থানার পুলিশ লক-আপে রেখে তার গ্রাম ফরাজিপাড়ায় যান তদন্তকারীরা। ধৃতের বাবা, মা, ভাইদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, তাঁদের কাছ থেকেই জানা যায়, কামরুজ্জামান মোট তিন বার বিয়ে করেছে। যদিও রানিনগর থানায় ফিরে ধৃতকে জেরা করা হলে সে তিন বার বিয়ের কথা অস্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন গ্রামে গিয়ে আরও জানা গিয়েছে, কামরুজ্জামান নিজের গ্রামে জমি কিনে বাড়িও করেছিল। তবে বছর দুয়েক আগে সেই জমি-বাড়ি বিক্রি করে পাকাপাকি ভাবে বর্ধমানে চলে যায়। পুলিশের দাবি, এ দিন জেরায় কামরুজ্জামান জানিয়েছে, ২০১৮-র পর থেকে সে খুন করেছে। যদিও এর আগে ২০১৩ সালের দু’টি খুনের ঘটনাতেও সে যুক্ত বলে জানিয়েছিল, দাবি কালনা থানার পুলিশের।
এ দিন হলুদ টি-শার্ট, কালো প্যান্ট পরে পুলিশের সঙ্গে রানিনগরে পৌঁছয় ‘চেন-খুন’ কাণ্ডে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান। চোখে-মুখে ক্লান্তি স্পষ্ট, কিন্তু ভয়ের ছাপ বিশেষ দেখা যায়নি। রানিনগর থানার পুলিশের দাবি, যা প্রশ্ন করা হয়েছে, ধৃত সবেরই জবাব দিয়েছে। তাকে রানিনগর থানায় আনা হলেও বাড়ির কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy