Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

নির্দেশ সত্ত্বেও জমা পড়েনি পিএফ, ব্যবস্থা

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে দৈনিক প্রায় সতেরোশো সাফাইকর্মী কাজ করেন। তাঁরা শহরাঞ্চলের জন্য রাজ্য সরকারের চালু করা ২০১০ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল আরবান এমপ্লয়মেন্ট স্কিম’ অনুযায়ী প্রথমে একশো টাকা, পরে ১২০ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করে আসছেন।

ছবি সংগৃহীত।

ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৫৪
Share: Save:

সাফাইকর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) বাবদ বকেয়া প্রায় সাড়ে ছ’কোটি টাকা দুর্গাপুর পুরসভাকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আঞ্চলিক পিএফ দফতর। কিন্তু তা না দেওয়ায় এ বার পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই পরিমাণ টাকা জমা রেখে তবেই বাকি টাকা লেনদেন করা যাবে, ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল পিএফ দফতর। এর ফলে পুরসভার আর্থিক সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে দৈনিক প্রায় সতেরোশো সাফাইকর্মী কাজ করেন। তাঁরা শহরাঞ্চলের জন্য রাজ্য সরকারের চালু করা ২০১০ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল আরবান এমপ্লয়মেন্ট স্কিম’ অনুযায়ী প্রথমে একশো টাকা, পরে ১২০ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করে আসছেন। পিএফ দফতরের অভিযোগ, ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই কর্মীদের পিএফের টাকা জমা পড়েনি।

কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের নির্দেশে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি পুরসভাকে ১৯৫২ সালের কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড আইনের আওতায় আনা হয়। দুর্গাপুর পুরসভা পিএফের অর্থ জমা না দেওয়ায় শুনানিতে ডাকা হয়। কিন্তু পুরসভার তরফে দাবি করা হয়, তারা সরকারি প্রকল্পে (স্কিম) কাজ করে। সেখানে পিএফ দেওয়ার কোনও কথা বলা নেই। ২০১৭ সাল থেকে এ বছরের ১৯ জুলাই পর্যন্ত দফায়-দফায় শুনানি হয়। শেষে ২৯ অগস্ট পিএফ দফতর পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়, প্রায় ৬ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ১৫ দিনের মধ্যে পুরসভাকে জমা দিতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে গোড়া থেকে আন্দোলন করে এসেছে আইএনটিইউসি। সংগঠনের তরফে পুরসভার সামনে বিক্ষোভও দেখানো হয়। তার পরেও পুরসভা বকেয়া জমা দেয়নি বলে অভিযোগ। পিএফ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর সেখানে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুরসভার অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা রয়েছে তার থেকে বকেয়া টাকা কেটে রেখে দিতে বলা হয়েছে। ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যে পিএফ দফতরের নির্দেশিকা কার্যকর করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে পুরসভা আর্থিক সমস্যায় পড়তে চলেছে বলে আধিকারিকদের একাংশের ধারণা। মেয়র দিলীপ অগস্তি অবশ্য বলেন, ‘‘পিএফ ট্রাইবুন্যালে আবেদন জানানো হবে। কেন পুরসভা বকেয়া জমা দিতে বাধ্য নয়, তা বিশদে তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Dugapur Municipality PF Sweeper
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy