Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

শব্দবাজি কি রোখা যাবে, সংশয় শহরে

কালীপুজোর দু’দিন আগে থেকেই শব্দবাজির দাপট শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ খনি-শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের। কয়েক দিন আগে থেকেই বিভিন্ন বাজারে বাজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩২
Share: Save:

নিষেধাজ্ঞা জারি হয় প্রতিবারই। তবু আড়ালে-আবডালে ঠিক চলে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি। এ বারও দীপাবলির আগে শিল্পাঞ্চলের নানা বাজারে শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সচেতনতা প্রচারও চলছে।

কালীপুজোর দু’দিন আগে থেকেই শব্দবাজির দাপট শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ খনি-শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের। কয়েক দিন আগে থেকেই বিভিন্ন বাজারে বাজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে প্রকাশ্যে শব্দবাজি বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে না। যদিও আসানসোল বাজার, বরাকর স্টেশন রোড, কুলটির চিনাকুড়ি, বার্নপুর স্টেশন রোড এলাকায় কিছু বিক্রেতা লুকিয়ে-চুরিয়ে শব্দবাজি বিক্রি করছেন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরাকরের এক বাজি বিক্রেতার আবার দাবি, ক্রেতাদেরই অনেকে এসে শব্দবাজি চাইছেন। শব্দবাজি এনে দেওয়ার জন্য অগ্রিম টাকাও দিতে চাইছেন।

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, কুলটি, রূপনারায়ণপুরে প্রতিবারই শব্দবাজির রমরমা দেখা যায়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, এ রাজ্যে শব্দবাজি নিষিদ্ধ হলেও লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে তা নয়। জামতাড়া, মিহিজাম, কুমারডুবি, নারায়ণপুর, মুগমায় শব্দবাজির ভাণ্ডার আছে। সেখান থেকে সীমানা পেরিয়ে সেই বাজি কুলটি, বরাকর, আসানসোলে পৌঁছে যায়। তিনি বলেন, ‘‘দীপাবলির আগে সীমানায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’’

অতিরিক্ত জেলাশাসক (দূষণ নিয়ন্ত্রণ) প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, দূষণ রোধে নিষিদ্ধ শব্দবাজির রমরমা রুখতে পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ যে সব এলাকায় শব্দবাজি বিক্রির প্রবণতা রয়েছে সেখানে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান এসিপি (‌সেন্ট্রাল) স্বপন দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে জামুড়িয়া থেকে বেশ কিছু নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া শব্দবাজি নিয়ে সাধারণ বাসিন্দা, বিশেষত পড়ুয়াদের সচেতন করা হচ্ছে।’’ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোল শাখার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শব্দবাজি রুখতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

আসানসোল, কুলটির বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, এ বার কালীপুজোর তিন-চার দিন আগে থেকেই সন্ধ্যার পরে বাজির আওয়াজ ভেসে আসছে। তাই নিষেধাজ্ঞা জারি বা অভিযান চালানোর পরেও শব্দবাজির দাপট কতটা রোখা যাবে, সে নিয়ে সংশয় থাকছেই বাসিন্দাদের।

অন্য বিষয়গুলি:

Firecrackers Asansol Sound Pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy