রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ। সালানপুরে। নিজস্ব চিত্র
দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ছ’জনকে ‘কোয়রান্টিন কেন্দ্রে’ নিয়ে যাচ্ছিল প্রশাসন। কিন্তু এলাকাবাসীর একাংশের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়ে ওই ছ’জনকে সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়নি বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে। সোমবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থানার প্রতাপপুরের ঘটনা। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুরে ‘নান্দনিক প্রেক্ষাগৃহ’ ও বিহার রোডের উপরে অবস্থিত ‘বর্ধমান ভবন’, এই দু’টি ‘কোয়রান্টিন কেন্দ্র’ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার বিকেলে রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দাদের একাংশ দু’টি ‘কোয়রান্টিন কেন্দ্র’ চালু না করার আর্জি জানান। সন্ধ্যা থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে, এই আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্রশাসন জানায়, রাত ৯টা নাগাদ আসানসোল থেকে ছ’জনকে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ‘কোয়রান্টিন কেন্দ্র’-এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, প্রতাপপুর, রুপনারায়ণপুর, আল্লডি, জেমারি-সহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ রূপনারায়ণপুর রেল সেতু লাগোয়া প্রতাপপুর মোড়ে অ্যাম্বুল্যান্স দু’টি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি জানান, ওই দু’টি কেন্দ্রে কাউকে রাখা যাবে না। ওই ছ’জনকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ফেরত যেতে হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীরা থাকলেও, তাঁদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। এ দিকে, লাগোয়া এলাকার আদিবাসীদের একাংশও রাস্তায় নামেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ির টায়ার জড়ো করে মাঝ রাস্তায় আগুন জ্বলিয়ে দেয় জনতা। ইতিমধ্যে সালানপুর, চৌরঙ্গি, চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। বিডিও (সালানপুর) তপন সরকার বলেন, ‘‘এলাকাবাসীর বাধায় অ্যাম্বুল্যান্সগুলি মঙ্গলবার ভোরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ফিরে যায়।’’
এ দিকে, মঙ্গলবার সকালে বিহার রোডে বর্ধমান ভবনের সামনে ‘পাহারায়’ থাকতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন যুবককে। কেন তাঁরা এমনটা করছেন, এ বিষয়ে ওই যুবকদের বক্তব্য, ‘‘বহিরাগত কাউকেই রূপনারায়ণপুরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালুও করতে দেওয়া হবে না।’’
পাশাপাশি, সোমবার দুপুরে সালানপুরের দেন্দুয়া লাগোয়া ইসিএল-এর একটি বন্ধ হাসপাতালে হওয়া ‘কোয়রান্টিন কেন্দ্র’-এর সামনেও বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীর একাংশ। সেখানে ১৪ জনকে এই মুহূর্তে ‘কোয়রান্টিন’ রাখা হয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশ, এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানোর দাবি জানান। পরে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। বিডিও তপনবাবু জানান, মঙ্গলবার সকালে দমকল ওই এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়িয়েছে। নিয়মিত জীবাণুনাশক ছড়ানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy