বর্ধমান শহরের রাস্তা ঢেকেছে এমন তোরণে। নিজস্ব চিত্র
শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট থেকে প্রশাসনিক চত্বরে ঢোকার মুখেই রয়েছে বাঁশের তৈরি বিশালকার তোরণ। কবে কারা সেটি তৈরি করেছিল, তা কেউ জানেন না। পুরসভার ঠিক পাশে জিটি রোডের উপরেও রয়েছে এমনই এক তোরণ। সে দু’টি খোলা হয় না কখনও। কোথাও কোনও বড় অনুষ্ঠান থাকলে উদ্যোক্তারা তোরণ দু’টিতে ফ্লেক্স-ব্যানার টাঙিয়ে দেন। রাস্তা দখল করে বাঁশের কাঠামো থেকে যায় বছরের পর বছর। ভোগান্তি নিয়েই পথ চলেন শহরবাসী।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দলের তরফে জেলাশাসককে ই-মেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেটি সরানোর পদক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য গৌরব সমাদ্দারের অভিযোগ, ‘‘কার্জন গেট থেকে জেলাশাসক দফতরের দিকে আসার রাস্তায় ডাক বিভাগের ডিভিশন অফিসের সামনেই বাঁশের বড় একটি তোরণ রয়েছে। বহুদিন আগে সেটি তৈরি হয়েছিল কোনও অনুষ্ঠানের জন্য। তার পরে একের পর এক অনুষ্ঠান হচ্ছে। তোরণের গায়ের ফ্লেক্স-ব্যানার পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু কাঠামো রয়েই যাচ্ছে।’’
বর্ধমান পুরসভার সামনে জিটি রোডের উপরেও রয়েছে একটি তোরণ। এখন উৎসব ময়দানে চলা খাদি মেলার বিজ্ঞাপন ঝুলছে তাতে। শহরবাসীর অভিযোগ, মেলা-উৎসবের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় তোরণটি। কিন্তু উৎসব শেষে কাঠামো সরানো হয় না। মূল জিটি রোড এবং রেলওভার ব্রিজ ওঠার মুখে এই তোরণটি পথচারীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, অভিযোগ কংগ্রেসের।
গৌরব বলেন, ‘‘গত বছরের মে নাগাদ পুরসভা বিজ্ঞপ্তি জারি করে কার্জন গেট সংলগ্ন জিটি রোড এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসের দিকে যাওয়ার রাস্তার ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও বিজ্ঞাপন-ব্যানার-ফেস্টুন না লাগানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় তোরণটি সরানো হয়নি। প্রতিদিন সেটি দৃশ্যদূষণ ঘটায়। চলাচলের সমস্যা তৈরি করে। সে কারণে বিষয়টির প্রতি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।’’ শহরবাসী তমাল সরকার, তুহিনশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলেও অনেকদিন পর্যন্ত তোরণে পুরনো ব্যানার ঝুলতে থাকে।’’ এখন কালবৈশাখীর সময় উপস্থিত। তোরণ দু’টি বিপদ ডেকে আনতে পারে, আশঙ্কা সাধারণ মানুষের।
মহকুমাশাসক (উত্তর) তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি পুরসভা দেখভাল করে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হবে পুরসভাকে।’’ পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ আসেনি। এলে খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy