কাটোয়া স্টেশনেও অপেক্ষায় ঢাকিরা। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে ব্যান্ডেল ও মগরা স্টেশনের মধ্যে তৃতীয় লাইন চালু করার কাজের জেরে, বেশ কয়েক দিন ধরেই দুপুরের কয়েক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। এ বার সে কাজের অন্তিম পর্বে ব্যান্ডেল জংশন স্টেশন শুক্রবার দুপুর থেকে ৭২ ঘণ্টা বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হল পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন স্টেশনের যাত্রীদের।
রেল জানিয়েছে, হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন এবং হাওড়া-কাটোয়া শাখায় শুক্রবার দুপুর থেকে তিন দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকছে। ব্যান্ডেল স্টেশনের ওই কাজের জন্য এক জোড়া হাওড়া-মেমারি এবং এক জোড়া শিয়ালদহ-বর্ধমান লোকাল তিন দিন বন্ধ থাকবে। তার বদলে বর্ধমান ও খন্যান স্টেশনের মধ্যে দৈনিক সাত জোড়া এবং কাটোয়া থেকে ত্রিবেণীর মধ্যে ছ’জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। আজ, শনিবার ও কাল, রবিবার ওই সব রুটে ট্রেন বাড়ানো হবে।
বর্ধমান স্টেশনের ইয়ার্ড ম্যানেজার স্বপন অধিকারী বলেন, ‘‘শনিবার ও রবিবার ভোর ৫.০৫ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন বর্ধমান থেকে খন্যান পর্যন্ত চালানো হবে। হাওড়া ও চুঁচুড়া লাইনেও ১৩ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলানো হবে। ত্রিবেণী ও কাটোয়া রুটেও চলবে স্পেশাল ট্রেন। দুন এবং মিথিলা এক্সপ্রেসকে কর্ড লাইন দিয়ে চালানো হবে রবিবার পর্যন্ত।’’ রেল আগে থেকে এ নিয়ে ঘোষণা করলেও, বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীরা এ নিয়ে ঠিক মতো প্রচার করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন। দুপুরে মেন লাইনে হাওড়ামুখী দিনের শেষ ট্রেন চলে যাওয়ার পরে, বর্ধমান স্টেশনে ফুটওভারব্রিজ, প্ল্যাটফর্মে প্রচুর যাত্রীকে স্পেশাল ট্রেনের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন আসানসোল, দুর্গাপুর বা লুপ লাইনের দিকের যাত্রীরা। ট্রেন কমে যাওয়া বর্ধমান স্টেশনে এসে তাঁদের গন্তব্যের ট্রেন পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
গুসকরা থেকে দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ বর্ধমানে আসা সুমন পাত্র বলেন, ‘‘আমি শ্রীরামপুর যাবে। কিন্তু বর্ধমান স্টেশনে এসে দেখি, খন্যান পর্যন্ত মেন লাইনের ট্রেন ৩.১৫ মিনিটে ছাড়বে। তার আগে ট্রেন নেই। সেখান থেকে আবার কী পাওয়া যায় দেখতে হবে। ফলে, অনেকখানি সময় নষ্ট হবে।’’ সাঁইথিয়া থেকে আসা শতদল বসু বলেন, ‘‘আমি রিষড়ায় যাব। কিন্তু বর্ধমান স্টেশনে এসে দেখি, হাওড়া যাওয়ার মেন লাইনের শেষ লোকালে পা ফেলার জায়গা নেই। অগত্যা কর্ড লাইনে হাওড়া গিয়ে ফের রিষড়ার ট্রেন ধরব বলে ঠিক করেছি।’’ যাত্রীদের মধ্যে মামনি কবিরাজ, মহম্মদ মহসিন, শরৎ দাস, শিবরাজ ঘোষেরা জানান, কর্ড লাইনই এখন ভরসা। কিন্তু তাতেও গন্তব্যে পৌঁছতে বাস, ট্রেকার ধরা ছাড়া গতি নেই।
কাটোয়ার বাসিন্দা দীনেশ সরকার বলেন, “এ দিন আমি চুঁচুড়ায় যাব বলে কাটোয়া লোকালে চাপি। কিন্তু মাঝপথে যাত্রীদের কাছে জানতে পারি, ট্রেন ব্যান্ডেলে যাবে না। বাধ্য হয়ে পূর্বস্থলীতে নেমে যাই। খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হল।” বাপি কুণ্ডু নামে এক নিত্যযাত্রী বলেন, “ব্যান্ডেলে ট্রেন না ঢোকায় খুব সমস্যা হচ্ছে। জরুরি কাজ থাকা সত্ত্বেও কলকাতায় যেতে পারলাম না।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy