প্রতীকী ছবি।
কয়েক ঘণ্টা আগে জন্মানো এক কন্যাসন্তানকে কাপড়ের থলিতে ভরে গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন বাবা-মা। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের একাংশ ও পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছেন দুর্গাপুরের নিশানহাট বস্তির বাসিন্দাদের একাংশ। বাসিন্দাদের দাবি, পরপর কন্যাসন্তান হওয়ায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ওই দম্পতি। ওই দম্পতি তাঁদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে দাবি। পুলিশ জানায়, পরিবারটির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে লাগোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পিছনের ফাঁকা মাঠে খেলছিল পাড়ার কয়েকটি বাচ্চা ছেলে। তারা লাগোয়া একটি ছোট গর্ত থেকে কান্নার আওয়াজ শোনে। দেখে, একটি থলি থেকে ওই কান্না ভেসে আসছে। পাড়ায় খবর দেওয়া হলে, থলিটি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। পাড়ার মহিলাদের একাংশের দাবি, তাঁরা খোঁজখবর করে শিশুটির বাবা-মা’র সন্ধান পান। অভিযোগ, ওই দম্পতি শিশুটিকে নিতে চাননি। বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়লে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। শেষ পর্যন্ত দম্পতি শিশুটিকে নেন। এর পরে ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, সম্ভবত বুধবার রাতেই ওই কন্যাসন্তানটির জন্ম হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পেশায় রিকশা চালক এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানটিকে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো শিশুটিকে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ‘‘ওই শিশুটির বাবা-মায়ের এর আগেও দু’টি মেয়ে হয়েছিল। ফের কন্যা সন্তান হওয়ায় ওই শিশুটিকে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন ওঁরা। পরে, এই ঘটনার জন্য ওই দম্পতি ক্ষমাও চেয়েছেন আমাদের কাছে।’’ সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করতে চাননি শিশুটির বাবা।
পুলিশ জানায়, শিশুটি আপাতত সুস্থ রয়েছে। তবে হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়ার পরেও দম্পতির দিকে নজর রাখা হবে। জেলা চাইল্ড লাইনের তরফে দেবায়ন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সন্তান সন্তানই। ছেলে-মেয়ে বলে আলাদা কিছু হয় না। এ বিষয়ে লাগাতার সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। তার পরেও এমন ঘটনার অভিযোগ উঠলে, তা দুর্ভাগ্যজনক। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’ রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ কোথাও দায়ের হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy