Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Golam Ali Ansari

দুই বর্ধমানে প্রশাসনিক সমন্বয় বাড়াতে বৈঠক

২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল সাবেক বর্ধমান ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠন হয়। ধাপে-ধাপে জেলা পরিষদ ভাগ হয়।

বর্ধমানে সভা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

বর্ধমানে সভা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৫৮
Share: Save:

জেলা ভাগের পরে, তিন বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বেশ কিছু জটিলতা রয়ে গিয়েছে। যার জেরে নানা সমস্যাও তৈরি হয় মাঝেমাঝে। সেই সমস্যা কাটাতে বর্ধমান রেঞ্জের ডিভিশনাল কমিশনার গোলাম আলি আনসারির উপস্থিতিতে বুধবার দুই জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হল বর্ধমানের সার্কিট হাউসে।

জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘সমন্বয় বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এক-একটি দফতর বৈঠক করবে। এ ছাড়া, জেলা স্তরেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর আলোচনা করা হবে।’’ জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘আদালতের মামলা সংক্রান্ত ও বিভিন্ন নথি-ফাইল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফের এ রকম বৈঠক হবে।’’

২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল সাবেক বর্ধমান ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠন হয়। ধাপে-ধাপে জেলা পরিষদ ভাগ হয়। জেলা পরিষদের তহবিলের টাকা সমানুপাতে ভাগ হয়েছিল। জেলা পরিষদের জায়গা নিয়ে দুই জেলার মধ্যে টানাপড়েন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভাবে মেটানো গিয়েছিল। জেলা ভাগের আগেই পুলিশের পরিকাঠামো আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশে ভাগ করা হয়েছিল।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা ভাগের পরে দেখা যাচ্ছে, আউশগ্রাম ১ ও গলসি ১ ব্লকের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের প্রশাসনিক কাজকর্ম হয় পূর্ব বর্ধমান জেলায়। অথচ, সেখানকার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। সে কারণে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফ থেকে আউশগ্রামের দেবশালা ও কোটা পঞ্চায়েতকে তাদের অধীনে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যৌথ পরিদর্শনের পরে, একটি প্রস্তাব স্বরাস্ট্র দফতরে পাঠানো যেতে পারে বলেও জানানো হয়। কমিশনার তাতে সম্মতি দিয়েছেন বলে প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুই জেলা মিলিয়ে সাতটি রেল উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান থেকে। সে সব কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অণ্ডাল বিমানবন্দরে জমি-সমস্যা, দুই জেলার মধ্যে গ্যাসের পাইপলাইন পাতা, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ছ’লেনের কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। দুই বর্ধমানে পঞ্চায়েত থেকে জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত কোথায় কত কর্মী বেশি রয়েছে, তাঁদের কী ভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন, তা নিয়েও দুই জেলার কর্তারা আলোচনা করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তরফে কিছু সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, জেলা ভাগের পরেও, পড়ে থাকা নথি বা ফাইল ‘স্ক্যান’ করে পূর্ব বর্ধমানে রাখতে হবে। মূল নথি পশ্চিম বর্ধমানে পাঠাতে হবে।

এ দিন পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও শ্রম দফতর তৈরি করতে হবে। রাজ্য সড়ক উন্নয়ন সংস্থার দফতর রয়েছে কাঁকসায়। সেখান থেকে পূর্ব বর্ধমানের পাঁচটি পঞ্চায়েতের কাজকর্ম দেখা হয়। তাতে অসুবিধা হয়। তেমনই, আইএসজিপি নিয়ন্ত্রিত হয় পূর্ব বর্ধমান থেকে। এই দফতরগুলিরও পূনর্বিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানানো হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Golam Ali Ansari East Burdwan West Burdwan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy