মাইথন জলাধার। নিজস্ব চিত্র
ঘুর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা জারি করে ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ডিভিসি-সহ রাজ্যের সব জলাধার থেকে এক সঙ্গে যাতে জল না ছাড়া হয়, সে বিষয়ে সরকারের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। যদিও ডিভিসি জানিয়েছে, টানা পাঁচ-ছ’দিন বৃষ্টি হলেও, জল ছাড়ার দরকার পড়বে না।
ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর বর্ষা শুরুর অন্তত মাস দেড়েক আগে থেকেই জলাধারের বিভিন্ন রকম সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। এ বারও তা চলছে। সাধারণত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বর্ষা নামে। তাই মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ প্রায় শেষের মুখে। ঘুর্ণিঝড় নিয়ে রাজ্যের তরফে যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে এবং পশ্চিমি ঝঞ্ঝা হলে দামোদরের জলস্ফীতি কমাতে যদি জল ছাড়ার প্রয়োজনীয়তা হয়, তবে তাৎক্ষণিক ভাবে পরিস্থিতির সামাল দিতে আগেভাগেই তৈরি থাকার কথা জানিয়েছে ডিভিসি। শনিবার ডিভিসি-র জনসংযোগ আধিকারিক অপূর্ব সাহা জানান, এই মুহূর্তে মাইথন জলাধারের জলস্তর প্রায় ৪৬৯ ফুট। এই জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ৪৯০ ফুট। আবার পাঞ্চেত জলাধারের জলস্তর এই মুহূর্তে প্রায় ৪০৮ ফুট। এই জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ৪২৫ ফুট। তিনি বলেন, “জলস্তরের যা পরিস্থিতি, তাতে এই মুহূর্তে টানা পাঁচ-ছ’দিন বৃষ্টি হলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। জল ছাড়ারও দরকার পড়বে না। জলাধার রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি, জলাধারগুলির দরজা ও কিছু কারিগরি সংস্কারের কাজ চলছে। সামগ্রিক ভাবেই গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে জানানো হচ্ছে।”
এ দিকে, ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পশ্চিমবঙ্গে সেচের কাজে ব্যবহারের জন্য প্রতি দিন অন্তত ছ’শো ঘনফুট (কিউসেক) জল ছাড়া হচ্ছে। এ ছাড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের একাধিক শিল্প সংস্থাকে ব্যবহারের জন্য প্রায় তিনশো ঘনফুট জল সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ বছর প্রচণ্ড গরম পড়ায় এমনিতেই দামোদরের জল শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে, এখনই অতিরিক্ত পরিমাণে জল ছাড়ার সম্ভাবনা নেই।
ডিভিসি-র আরও দাবি, গত ১০ বছরের বৃষ্টিপাত ও জলস্ফীতির পরিসংখ্যানের উপরে ভিত্তি করে আগামী সাত বছরে বৃষ্টিপাত ও জলস্ফিতির একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। সে তথ্য অনুযায়ী, এখনই কোনও রকম চিন্তার কারণ নেই।
তবে রাজ্যের ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে আসানসোল পুরসভা। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুমও। শনিবার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুরসভার কর্তারা। পুর-কমিশনার নীতীন সিংহানিয়া জানান, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের বন্যা পরিস্থিতির কথা ভেবে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে দুই দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৭৪৭৯০০১৮৭৫ ফোন নম্বরে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ করা যাবে। পাশাপাশি, নীতীন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাড়লে রেলপাড়-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy