প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রক গত মঙ্গলবারই কেরল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচলপ্রদেশে ১২টি ‘বার্ড ফ্লু’ আক্রান্ত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে নির্দেশিকা জারি করেছে। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও জারি হয়েছে সতর্কতা। তবে, পশ্চিম বর্ধমান-সহ রাজ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই ফ্লু’র খবর নেই। কিন্তু পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর জানিয়েছে, মুরগি, হাঁসের স্বাস্থ্যের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, কোথাও কোনও রকম গুজবে কান না দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেনপোলট্রি ব্যবসায়ীরা।
রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সতর্কতা ও নজরদারির জন্য প্রতিটি জেলাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জৈব নিরাপত্তায় আরও বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’ প্রাণিসম্পদ দফতর জানায়, রাজ্য থেকে প্রতিটি জেলায় খামারগুলিতে নিবিড় সতর্কতা ও মুরগির অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা পোলট্রি ফেডারেশনের হিসেব অনুযায়ী, পশ্চিম বর্ধমানে এক লক্ষেরও বেশি পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। বহু মানুষ মুরগি, হাঁস প্রতিপালনের সঙ্গে জড়িয়ে। তবে তাঁদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে এখনই চিন্তার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি দাবি করেছেন। কাঁকসার পোলট্রি ব্যবসায়ী দিগন্ত পাল, প্রদোষ পালেরা বলেন, ‘‘ফার্মের মুরগিগুলি আপাতত একদম ঠিক আছে।’’
কিন্তু তার পরেও ‘নিশ্চিন্তে’ বসে নেই তাঁরা, দাবি প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তাদের। বেশ কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত, দফতরের জেলা আধিকারিক তপনকুমার রায় বলেন, ‘‘রাজ্যে কোথাও বার্ড ফ্লু’র খবর নেই। তবে ‘প্রাণিবন্ধু’ ও ‘প্রাণিমিত্র’দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোথাও হাঁস, মুরগি-সহ এই ধরনের প্রাণীগুলির অস্বাভাবিক মৃত্যু মনে হলে, যেন সরাসরি দফতরে জানানো হয়। এখনও তেমন কোনও খবর নেই। ফলে, এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ দ্বিতীয়ত, নিয়মিত ভাবে মুরগি ও হাঁসের টিকাকরণ কর্মসূচিও চলছে।
পাশাপাশি, জেলা পোলট্রি ফেডারেশনের তরফে অখিল সাহা জানিয়েছেন, প্রতিটি ফার্মেই জৈব সুরক্ষা বলয় মেনে চলা হয়। নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে, অতীতে ‘ব্লার্ড ফ্লু’র প্রাদুর্ভাবের সময়ে নানা ‘গুজব’ ছড়িয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সে দিকে নজর রেখে অখিলবাবুর আর্জি, ‘‘অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। কোনও রকম গুজবে কেউ যেন কান না দেন। আমাদের রাজ্যের পোলট্রি ফার্মগুলিসম্পূর্ণ নিরাপদ।’’
সেই সঙ্গে, পোলট্রি ফেডারেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিম উৎপাদনে জেলা স্বাবলম্বী নয়। ডিম আমদানি করতে হয় বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের নানা প্রান্ত এবং ভিন্ রাজ্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। অখিলবাবু বলেন, ‘‘ডিম নিয়েও অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, ফ্লু আক্রান্ত মুরগি ডিম পাড়তেইপারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy