নিজস্ব চিত্র
এলাকার লোকজনের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ নেই তাদের। অনেকের কাছে বেশ কিছু ধারদেনাও রয়েছে— ধেমোমেনের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে খুনের আগে অপহরণ করে যে বাড়িতে রাখা হয়েছিল, সেটির সদস্যদের সম্পর্কে এমনই দাবি করছেন প্রতিবেশীরা।
পুলিশের দাবি, আপকার গার্ডেন থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পরে তার বন্ধু বিজয় প্রসাদকে জেরা করা হলে সে জানায়, মেয়েটিকে অপহরণের পরে রাখা হয় তার বন্ধু আকাশ শাহের লোয়ার চেলিডাঙার বাড়িতে। গোটা ঘটনায় যুক্ত আকাশের মা দীপিকা, তার বন্ধু সুপ্রিয় বক্সী। জড়িত রয়েছে দীপিকার মেয়ে-জামাই আলিশা রায় ও প্রবীণ রায়ও।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই অপহরণ করা হয়েছিল মেয়েটিকে। কিন্তু পরে ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তাকে খুন করে অভিযুক্তেরা। ঘটনার পরে আলিশা ও প্রবীণ তাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানের বাড়িতে পালিয়ে গিয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। সেখান থেকে তাদের ধরা হয়েছে। লোয়ার চেলিডাঙায় প্রতিবেশীরা দাবি করেন, এক সময়ে দীপিকাদের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল ছিল না। কিন্তু এখন অবস্থা পাল্টেছে। বছর দুয়েক আগে তার স্বামী রাজেন শাহের মৃত্যু হয়। তবে এলাকার অনেকের কাছে তাদের দেনাও রয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারটিকে নিয়ে তাঁদেরও নানা সংশয় ছিল বলে দাবি করেন পড়শিদের অনেকে। সুপ্রিয়ের সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে তদন্তকারীরা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy