—প্রতীকী ছবি।
মায়ের সঙ্গেই আগুনে পুড়ে মৃত্য হল তিন বছরের এক শিশুকন্যার। বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুর গ্রামে। মৃতার নাম সাধনা মাঝি (২০) এবং তাঁর মেয়ে রিনিতা মাঝি (৩)। বুধবার রাতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ কিন্তু পরে সেখানেই তাঁদের মৃ্ত্যু হয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এই গোটা ঘটনায় সাধনার মা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূমের নানুর থানার বঙ্গছত্র গ্রামের বাসিন্দা গদাই মাঝির বড় মেয়ে সাধনার সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয় মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা রাঘব মাঝির। রাঘব হায়দরাবাদে কাজ করেন৷ রাঘবেরা তিন ভাই৷ বিয়ের আগে রাঘব ও সাধনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল৷ বুধবার রাত ন’টা নাগাদ সাধনা ও তাঁর মেয়ে রিনিতাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন শ্বশুড়বাড়ির লোকজন৷ রাত দেড়’টা নাগাদ দু’জনের মৃত্যু হয়৷
সাধনার মা মল্লিকা বলেন, “আমার মেয়েকে অত্যাচার করত জামাই। মিথ্যা সন্দেহ করত। আমার মেয়ে সবই আমাকে জানাত৷ ওরাই আমার মেয়ের গায়ে আগুনে দিয়েছে৷” সাধনার বোন মৌমিতা বলেন, “জামাইবাবুই আমার দিদি ও তাঁর মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। ওঁরা রাতেই আমাদের ফোন করে এই ঘটনার কথা জানায়৷” যদিও এই ঘটনায় শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মেলেনি।
বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সাধনা ও রিনিতার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়৷ গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy