বন্ধ: কালনা শহরের চকবাজার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
বন্ধের সমর্থনে আলাদা করে মিছিল, সভা ডাকার প্রয়োজন হয় না। রাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে কে বা কারা কয়েকটি পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়ে যায়। তাতেই বন্ধ হয়ে যায় শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট। ব্যবসায়ীরা দলে বেঁধে ছুটি কাটান সমুদ্র সৈকত বা নদীর পাড়ে। ২৮ জুলাই কালনা শহরের এই ছবি বহু দিনের। ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনা সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর এই দিনটিতে বেড়াতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কিছুটা কমলেও এ বার বিপুল সংখ্যক মানুষ নানা জায়গায় ছুটি কাটাতে গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বাজার, রেলস্টেশন, মহকুমাশাসকের কার্যালয় চত্বর-সহ নানা জায়গায় পোস্টার চোখে পড়ে। নকশাল নেতা চারু মজুমদারের স্মরণে নদিয়া ও কালনা অচল করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নকশালদের একটি সংগঠন দলীয় নেতার মৃত্যু দিবসে নিঃশব্দে বন্ধের ডাক দেয় প্রতি বছরই।
এ দিন চকবাজার, সোনাপট্টি, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানেই তালা। নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসও ছাড়ে কম। খেয়াঘাটেও যাত্রী ছিল না তেমন।
কালনা শহরের বাসিন্দা মৃন্ময় ঘোষ জানিয়েছেন, বুধবার রাতে শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০টিরও বেশি বাস দিঘা-সহ নানা বেড়ানোর স্থানে রওনা দিয়েছে। ছোট ছোট গাড়িও ছেড়েছে অজস্র। এক ব্যবসায়ী রমেন ঘোষও জানান, সপ্তাহের কোনও নির্দিষ্ট দিনে দোকান বন্ধ থাকে না কালনায়। তাই ২৮ জুলাই পরিকল্পনা করে ছুটি কাটানো হয়। পরিবারকে নিয়ে সমুদ্র ঘুরতে গিয়েছেন তিনি। মন্দারমনি থেকে গোপাল পাল নামে এক ব্যবসায়ীও বলেন, ‘‘গত দশ বছরে এ বার সব থেকে বেশি বাস ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বেড়াতে এসেছেন। একটা দিনের আনন্দের জন্য মাস তিনেক আগে থেকেই প্রস্তুতিনেওয়া হয়।’’
ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন সিপিআইএমএল লিবারেশনের নেতারা। সংগঠনের কালনা লোকাল কমিটির সম্পাদক রফিকুল ইসালাম জানিয়েছেন, চারু মজুমদার ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তাঁর মৃত্যু দিবসে মিছিল, কর্মী বৈঠক-সহ নানা কর্মসূচি করা হয়। তবে ধর্মঘট করা হয় না। কালনা অচল করার ডাক দেওয়া পোস্টারও তাঁরা দেননি বলে দাবি করেছেন ওই নেতা।
কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত বলেন, ‘‘সারা বছরই দোকান খোলা থাকে। একটা দিন ব্যবসায়ীরা বার্ষিক উৎসব পালন করেন। ফলে, কারও কিছু বলার থাকে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy