এই জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরে ছাত্রীর দেহ মিলল ডাস্টবিনে। মঙ্গলবার ভোরে আসানসোলের আপকার গার্ডেন এলাকা থেকে উদ্ধার বছর সতেরোর মেয়েটির দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হাতের শিরা কেটে ও শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাকে। পরিবারের দাবি, সোমবার মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস এসেছিল তাদের কাছে। তা থানায় জানালেও পুলিশ মেয়েকে উদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ পরিজনদের।
পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস অবশ্য বলেন, ‘‘ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করার পরেই পুলিশ খোঁজখবর শুরু করেছিল। সোমবার মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস আসার পরেও তদন্ত হয়। কিন্তু মঙ্গলবার ভোরে দেহ মিলেছে।’’ কী কারণে মেয়েটিকে খুন করা হল, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সে নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা ইসিএলের ধেমোমেন কোলিয়ারির কর্মী। কোলিয়ারির আবাসন কলোনিতেই থাকেন তাঁরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ বার্নপুরের নিউটাউনে টিউশন নিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোয় মেয়েটি। সন্ধ্যায় তার ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত না ফেরায় মোবাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল।
মেয়েটির বাবা জানান, সে রাতেই তিনি আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ আমার মেয়েকে খোঁজার কোনও চেষ্টাই করেনি। সোমবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ মেয়ের ফোন থেকে একটি এসএমএস পাই। তাতে বলা হয়, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। পুলিশকে কিছু জানালে মেয়েকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় ওই এসএমএসে।’’ তাঁর দাবি, সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে জানিয়ে মোবাইলের সূত্র ধরে মেয়েকে খোঁজার আবেদন করেন। কিন্তু পুলিশের তেমন হেলদোল ছিল না বলে তাঁর অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে আসানসোলের অন্যতম অভিজাত এলাকা আপকার গার্ডেনে একটি আবাসনের নিরাপত্তা কর্মী খবর দেন, ডাস্টবিনে দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশ তা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। দেহ শনাক্ত করার পরে হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মেয়েটির পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ একটু সক্রিয় হলে মেয়েকে এ ভাবে মরতে হত না।
পরিবারের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এডিসিপি (সেন্ট্রাল)। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে খুনের পদ্ধতি পরিষ্কার হবে। ওই ছাত্রী যে সহপাঠীদের সঙ্গে টিউশনে গিয়েছিল, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মেয়েটির মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার আগে-পরে ফোনে কার সঙ্গে কথা হয়েছিল, তা দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস এডিসিপি-র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy