অবরোধ-বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
সাঁওতালি ভাষা ও অলচিকি লিপিতে পাঠ্যক্রম চালু করার দাবিতে আদিবাসী দিশম গাঁওতা-সহ ১৫টি জনজাতি সংগঠনের নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে রানিগঞ্জের টিডিবি কলেজের সামনে। বুধবার সেই অবস্থান-অনশনের মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানো হয়।
ওই সংগঠনগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ জুন থেকে এই শিক্ষাবর্ষেই সাঁওতালি ভাষা ও অলচিকি লিপিতে পাঠ্যক্রম চালুর দাবিতে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলছে। সংগঠনের নেতারা জানান, ২০২৩ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এই পাঠ্যক্রম চালুর ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্র এবং উচ্চ শিক্ষা দফতর পাঠ্যক্রম চালুর অনুমোদন দিয়েছে। তার পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাও নিয়েছেন।
কিন্তু এত দিন পরেও পাঠ্যক্রম চালু করা হয়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের কর্মসূচির জন্য এলাকায় মহরম পালনে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে কারণে বুধবার তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। সংগঠনের এক নেতা সঞ্জয় হেমব্রমের অভিযোগ, বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ তাঁরা খবর পান, কে বা কারা মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। এর পরেই আন্দোলনে যুক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিরা মঞ্চের সামনে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার রানিগঞ্জ মোড় থেকে কলেজ পর্যন্ত একটি মিছিল ও তার পরে কলেজের গেটে বিক্ষোভের কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে জন্য এ দিন বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার দেওয়া হচ্ছিল। এরই মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। তাঁদের ধারণা, চক্রান্ত করে মঞ্চ ভাঙা হয়েছে। তবে তাঁদের হুঁশিয়ারি, এ ভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় জানান, উচ্চ শিক্ষা দফতর যখন অনুমোদন দিয়েছে তখন শীঘ্রই ওই পাঠ্যক্রম চালু
করার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করবেন বলে তাঁরা আশাবাদী। মঞ্চ ভাঙার বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফেও এ বিষয়ে
কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy