ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা যুব ভোটারেরা পাচ্ছেন। ফলে ভোট দিতে বুথে যাওয়ার আগেই তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করে তোলার দায়িত্ব সিপিএমের যুব কর্মীদের নিতে হবে, জানিয়ে দিয়ে গেলেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে বর্ধমান শহরের টাউন হলে সংগঠনের যুব নেতৃত্বদের নিয়ে ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শীর্ষক আলোচনায় যোগ দেন তিনি।
প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো বক্তব্যে সন্দেশখালিতে গিয়ে কী উপলব্ধি করেছেন, সেই ব্যাখা দেন তিনি। সেখানকার কর্মী ও নেতৃত্ব কী ভাবে মানুষকে সংগঠিত করছে সেটাও শহরের যুব নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরেন। জোর দেন জনসংযোগে। শক্তিশালী বুথ কমিটি গঠন করে যুবকদের কাছে পৌঁছনোরও বার্তা দেন।
সভায় হাজির ব্লক স্তরের যুব নেতৃত্বের একাংশের দাবি, রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প সরাসরি যুবক বা যুবতীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে ভোট দেওয়ার আগেই নতুন ভোটারদের একটা বড় অংশ তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রাখছেন। সেই প্রসঙ্গে মীনাক্ষী জানান, প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যুবক, যুবতীদের বেশির ভাগই বেকার। তাঁদের বোঝাতে হবে, তৃণমূর সরকার পাঁচশো, হাজার টাকা দিলেও কর্মসংস্থান দিতে পারছে না। নিজের অধিকার নিয়ে সচেতন করারও বার্তা দেন।
ডিওয়াইএফ সূত্রে জানা যায়, মীনাক্ষী এ দিন সভায় দাবি করেন, ‘তৃণমূল চোর’, এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কোনও সন্দেহ নেই। এ নিয়ে যুবদের প্রচার করতেই হবে। সেই সঙ্গে ভোটের মুখে এনআরসি, সিএএ নিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো, ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে প্রচার করার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধেও সমান ভাবে আক্রমণের কথা বলেন তিনি। বিজেপি ও তৃণমূল যে একই, প্রচারে তাতে জোর দেওয়ার কথা বলেন। যদিও জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারের দাবি, “যুবদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, সেটা মেনেই নিচ্ছেন ডিওয়াইএফের নেত্রী। আর চাকরিও যে হচ্ছে, সেটাও যুবরা জানেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy