প্রতীকী ছবি।
কেউ গুজরাতের সুরাত, কেউ মুম্বইয়ের দাদার, কেউ চেন্নাই, দিল্লিতে আটকে ছিলেন। অভিযোগ, তাঁদের গ্রামে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কিছুই করেনি। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর উদ্যোগে তাঁরা গ্রামে ফিরতে পেরেছেন, দাবি ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের। সোমবার বিকেলে ভাতারের বামশোর গ্রামের প্রায় দু’শো পরিযায়ী শ্রমিক কংগ্রেসের পতাকা হাতে রাস্তায় নামেন। মিছিল থেকে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগানও দিতে শোনা যায় তাঁদের। কৃতজ্ঞতা জানাতেই এই মিছিল, জানান তাঁরা।
জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পরিযায়ীরা যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন সে জন্য কংগ্রেস রেল ভাড়া দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর আমাদের সাংসদ অধীর চৌধুরী পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরানোর জন্য দফতরই খুলে বসেছিলেন। ক্ষমতায় না থেকেও যে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, সেটা কংগ্রেস দেখিয়ে দিল। বামশোরের পরিযায়ী মানুষেরা যে তা বুঝেছেন, সেটাই বড় কথা।’’
অধীর বলছেন, ‘‘কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই, তা বলে ভাববেন না কংগ্রেস নেই। কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে ছিল এবং আছে। পরিযায়ীদের নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দু’পক্ষই ছেলেখেলা করছে। আমার মনে হয়েছিল যাঁরা ভিন রাজ্যে পড়ে রয়েছেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শুনে বলেছেন, করোনা পরিবাহিত হবে। রাজ্য বলেছে, একটা করোনা এক্সপ্রেস আসছে। আমরা বলছি, খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে ফেরানো কর্তব্য।’’
মিছিলে হাঁটার ফাঁকে সদ্য ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক শ্যামল শেখ, বিদ্যুৎ শেখদের দাবি, “আমরা কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। লকডাউনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছিলাম। রাজ্যের সঙ্গে ফোনে, ই-মেলে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু বাড়ি ফেরার দিশা দেখতে পাইনি। তখন এক কংগ্রেস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করি। উনি কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর দফতরে যোগাযোগ করে দেন। অধীরবাবুর চেষ্টাতেই আমরা বাড়ি ফিরতে পেরেছি।’’
মিছিল শেষে টিঙ্কু মল্লিক, পিন্টু মল্লিকদেরও দাবি, “আমরা তৃণমূল পরিবার বলে এলাকায় পরিচিত। কিন্তু বিপদের দিনে পঞ্চায়েত সদস্য থেকে বিধায়ক কাউকে পাশে পাইনি। অথচ, অধীরবাবু আমাদের ফেরালেন। কোয়রান্টিনে থাকার মেয়াদ শেষ হতেই আমরা কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মিছিল করে কৃতজ্ঞতা জানালাম।’’
এ দিন মিছিলে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রশান্ত সামন্ত, ভাতার ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তপন সামন্তরা। তাঁরা বলেন, “ওই সব পরিযায়ী শ্রমিকেরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অধীরবাবুর দফতরে যোগাযোগ করি। সেখান থেকেই তাঁদের সুষ্ঠু ভাবে বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দেন তিনি।’’
ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। ওই গ্রামে থাকেন ভাতার পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের পরেশনাথ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, “পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারগুলি আমাদের দল করে, নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। গণতন্ত্র রয়েছে। মতপ্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন সবাই।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পরিযায়ীদের ফেরানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেন ভাড়ার ব্যবস্থা করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy