স্থাপিত: ১৮৮৬ ,ওয়ার্ড: ১০৬, জনসংখ্যা: ১১,৫৬,৩৮৭, এলাকা: ৩২৬.৪৮ বর্গ কিলোমিটার
ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার। তা অনুযায়ী, আসানসোল পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টি ওয়ার্ড সংরক্ষিত হতে পারে। এই তালিকা অনুযায়ী, গত বার নিজেদের জেতা ওয়ার্ড হারাতে পারেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিরোধী দলনেতা তাপস কবি-সহ জেলার বেশ কয়েকজন ‘হেভিওয়েট’ নেতা। তবে সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও দল অসন্তোষ প্রকাশ করেনি।
গত বার আসানসোল পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন মেয়র তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তালিকা অনুযায়ী, ওই ওয়ার্ডটি তফসিলি মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। জিতেন্দ্রবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ নিয়ে ভাবার কিছু নেই। সবই নিজের নিয়মে চলে। কাকে, কোন ওয়ার্ডে দাঁড় করানো হবে, তা ঠিক করবেন দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব। এ নিয়ে কিছু ভাবছিই না।’’
পাশাপাশি, পুরসভার অধ্যক্ষ অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় গত বার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন। সেটি তফসিলি মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু এই সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে অমরনাথবাবুর বক্তব্য, ‘‘পুরসভার অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করার সময়ে ১০৬টি ওয়ার্ডেরই প্রতিনিধিত্ব করেছি। তাই, একটি ওয়ার্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। দলীয় নেতৃত্বও জানেন, বছরভর আমরা নানা এলাকা ঘুরে কাজ করি।’’
এ ছাড়া মেয়র পারিষদ (জল) পূর্ণশশী রায়ের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত হয়েছে তফসিলি প্রার্থীর জন্য। বিষয়টি জেনে তিনি বলেন, ‘‘সব সময় নাগরিকদের পাশে থেকেছি। এর মূল্যায়ণ করবে দল। দলই আমার ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। তবে কাজ থেমে থাকবে না।’’
শুধু তৃণমূল নয়, বিরোধী ‘হেভিওয়েট’ নেতারাও সংরক্ষণের জেরে নিজেদের জেতা ওয়ার্ড হারাতে পারেন। এই তালিকায় সামনের দিকে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা তাপস কবি। গত বার তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন। এ বার তা তফসিলি মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত হতে পারে। তাপসবাবুর মন্তব্য, ‘‘ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে বলার বিশেষ কিছুই নেই। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমরা চলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy