—ফাইল চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই নেওয়া হতে পারে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ঘোষণার পরে স্বস্তিতে শিক্ষক, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
জেলার পরীক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে রিমা চট্টোপাধ্যায়, কল্লোল রায়দের মতো পরীক্ষার্থীরা বলেন, ‘‘বুধবার সকাল থেকে নতুন উদ্যমে পড়াশোনা শুরু করেছি।’’ অভিভাবক কাঞ্চন পাল বলেন, ‘‘মেয়ের পরীক্ষা কবে শেষ হবে ভেবে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আশা করি আর সূচি বদলাবে না।’’
স্বস্তিতে শিক্ষকেরাও। দুর্গাপুরের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নির্দিষ্ট স্কুল বিধানচন্দ্র ইনস্টিটিউশন ফর বয়েজ়-এর অধ্যক্ষ রথীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাতে এক মাসেরও বেশি সময় রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হবে না। তবে, পরীক্ষাকেন্দ্রে সমস্যা হতে পারে। সাধারণত, একটি বেঞ্চে দু’জন করে পরীক্ষার্থী বসে। ফলে, নতুন ব্যবস্থায় জায়গা নিয়ে সমস্যা হবে কি না, তা নিয়ে একটু চিন্তা থাকছে।’’ পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরা থাকেন। ফলে, খুব ভিড় হয়। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করলে সামাজিক দূরত্ব মানা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।’’
যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি, আমরা শিক্ষকেরাও উদ্বিগ্ন ছিলাম। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরে, পরিস্থিতি বদলেছে। পরীক্ষার্থীদের বলব, মন দিয়ে পড়াশোনা করতে। কী ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সে বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy