মন্তেশ্বরে। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় শ্মশানঘাট তৈরির কাজের গতি অত্যন্ত ঢিমে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়ছেন মন্তেশ্বরের শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, শ্মাশানঘাট না থাকায় নদীর ধারে মৃতদেহ দাহ করতে হচ্ছে অনেক বাসিন্দাকেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই পঞ্চায়েতের পশ্চিম মামুদপুর, সরিষাডাঙা, গোপালনগর, তুল্যভাণ্ডারপুর, বাউই, রাজগাছি ও মুরারিপুর গ্রামের বাসিন্দারা বহু বছর ধরেই দেহ-সৎকার কোথায় করা হবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। তাঁদের এই কাজের জন্য খড়ি নদী পেরিয়ে বর্ধমান সদর এলাকার ভাণ্ডারডিহিতে যেতে হত। শুশুনিয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্প্রতি সেখানের কর্তৃপক্ষ জানান, অন্য এলাকার দেহ এখানে দাহ করা যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে সৎকারের জন্য দেহ নিয়ে দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা খরচ করে কালনা, কাটোয়া, নবদ্বীপ শ্মশানঘাটে যেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। অনেকের পক্ষেই এই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে তাঁরা খড়ির পাড়েই দাহ-কার্য করছেন।
২০১৮-য় এলাকাবাসীর এই সমস্যা মেটাতে পশ্চিম মামুদপুরে নদীর পাড়ে একটি জমিতে শ্মশানঘাট ও একটি বিশ্রামাগার তৈরির পরিকল্পনা নেয় পঞ্চায়েত। শুরু হয় কাজও। কিন্তু, এ যাবৎ সেখানে শ্মশান-ঘর তৈরি হলেও নেই জলের ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট। অভিযোগ, যেখানে মৃতদেহ দাহ করা হবে সেই ঘরটিও অত্যন্ত ছোট। দেহ সৎকারের পর হাত-পা ধোয়া-সহ নানা কাজের জন্য জরুরি জলাশয়। সেটিও তৈরি হয়নি। সুশান্ত ঘোষ, পঞ্চানন সামান্তদের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে শ্মশানঘাটটি তৈরির কাজ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সমস্যা বাড়ছে।’’
তবে শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পার্থসারথি দে বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে পঞ্চায়েতের আগের বোর্ড ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৯৮ টাকা ব্যয় করে শ্মশানঘাট ও বিশ্রামাগার তৈরির পরিকল্পনা নেয়। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ওই এলাকায় জলের একটি নলকূপ বসানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই নলকূপটি বসানো হবে। পাশাপাশি, একশো দিনের প্রকল্পে পঞ্চায়েত রাস্তাও তৈরি করবে। আশা করি, দ্রুত শ্মশানঘাটটি চালু হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy