কাঁকসার মার্কেট কমপ্লেক্স চত্বরে পড়ে রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রায় পনেরো বছর আগে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও তা চালু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কাঁকসার বামুনাড়ার ওই বাজার-ভবনটি বেহাল। পাশাপাশি, সেটির সামনের জায়গা দখল করে চলছে ইট, বালি, পাথরের ব্যবসাও চলছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এ ভাবে চলতে থাকলে, পুরো ভবনটিই দখল হয়ে যেতে পারে।
অবিভক্ত বর্ধমান জেলা পরিষদ ২০০৮-এ ‘নাবার্ড’-এর আর্থিক সহায়তায় বহুতল বাজার-ভবনটি তৈরি করে। খরচ হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। লক্ষ্য ছিল, কমপ্লেক্সের ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করবেন স্থানীয় বেকারেরা। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়, লটারির মাধ্যমে ভবনটির সব ঘর বিতরণ করা হবে। সে জন্য ব্যবসায়ীদের একাংশ টাকাও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভবনটি চালু হয়নি।
কেন চালু হয়নি? সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বীরেশ্বর মণ্ডলের দাবি, বাম আমলে ভবনটি চালু করতে এক বার পদক্ষেপ করা হলেও সে ভাবে সাড়া মেলেনি। পাশাপাশি, বর্তমান জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা ভাগের পরে নথিগত সমস্যার জন্যও ভবনটি চালু করার বিষয়ে সমস্যা হয়েছে। সে সঙ্গে, করোনা-পরিস্থিতিতেও সমস্যা হয়। বছরখানেক আগে জেলশাসক (পশ্চিম বর্ধমান), তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবনটি পরিদর্শনও করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের একাংশের।
এই পরিস্থিতিতে ভবনটি বেহাল। জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে। পাশাপাশি, এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ভবনের সামনের জায়গা দখল করে ইট, বালি, পাথর রেখে ব্যবসা চালাচ্ছেন নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহকারীদের একাংশ।
যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবনটির ভিতরে আগেও সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু অরক্ষিত হওয়ায় তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভবনের সামনের জায়গা দখল প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবনের সামনের জায়গাটি সীমানা পাঁচিল দেওয়া হবে। সে জন্য দরপত্রও ডাকা হয়ে গিয়েছে। প্রায় বারো লক্ষ টাকা খরচে পাঁচিলটি তৈরি হবে। জেলা পরিষদের সদস্য সমীর বিশ্বাস বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগেই পাঁচিল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। তা হয়ে গেলে, ভবনটি সংস্কার করে বেকারদের জন্য চালু করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy