E-Paper

আন্ডারপাস হয়নি, দুর্ভোগ রাস্তাতেও

গলসির বর্ধিঞ্চু গ্রাম পুরসা। প্রায় ছ’হাজার লোকের বাস। গ্রাম দু'ভাগ করে গিয়েছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে।

এমনই বিপজ্জনক হাল রাস্তার। গলসির পুরসা।

এমনই বিপজ্জনক হাল রাস্তার। গলসির পুরসা। নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪০
Share
Save

খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তা ছ’লেন করার কাজ শুরু করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যেই গ্রামের স্কুলের সামনে ও ডিভিসি মোড়ে আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিতে একাধিক বার বিক্ষোভ দেখান গলসি ১ ব্লকের পুরসা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। কাজও আটকে দেওয়া হয়। এ সবের জেরে দু’বছর পেরিয়ে গেলেও সম্পূর্ণ হল না রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ। ফলে, একদিকে সঙ্কীর্ণ রাস্তায় নিত্য যানজট লেগে রয়েছে, তেমনি খোঁড়া গর্তে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষজন। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী নন বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, স্থানীয় লোকজনের বাধায় কাজ থমকে রয়েছে। সমস্যার সমাধান হলেই কাজ শুরু হবে।

বছর আড়াই আগে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ছ'লেন করার কাজ শুরু হয়। গলসির উড়া, গলিগ্রাম, ভাসাপুল, পুরসার ডিভিসি মোড়, পুরসা স্কুল মোড়-সহ একাধিক জায়গায় আন্ডারপাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। তাঁদের আপত্তিতে অনেক জায়গাতে কাজ আটকে যায়। তবে পুরসা বাদে সব এলাকাতেই দাবি পূরণ করে কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, পুরসা গ্রামের হাসপাতাল মোড় থেকে কোলকোল মোড় পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তায় ছ’লেনের কাজ থমকে রয়েছে।

গলসির বর্ধিঞ্চু গ্রাম পুরসা। প্রায় ছ’হাজার লোকের বাস। গ্রাম দু'ভাগ করে গিয়েছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, স্কুলে আসতে বহু পড়ুয়াকে রাস্তা পারাপার করতে হয়। তাই সেখানে ছোট একটা আন্ডারপাস আর ডিভিসি মোড়ে আর একটি আন্ডারপাসের দাবি জানানো হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু আন্ডারপাস হয়নি। রাস্তাও খোঁড়া হয়ে পড়ে রয়েছে। গ্রামবাসী শেখ সারাফত আলি, শেখ ফিরোজ হোসেনরা বলেন, ‘‘রাস্তার পাশে খোঁড়ায় তা সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। ফলে, নিত্য তীব্র যানজটে ভুগতে হয়। সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। রাস্তা পারাপার করা যায় না।’’ পুরসা পঞ্চায়েতের প্রধান আরতি বাগদি বলেন, “সত্যি গ্রামের মানুষ চরম অসুবিধায় পড়েছেন। আমি বিষয়টি ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কাজটা দ্রুত করা দরকার।”

গলসির বিধায়ক নেপাল ঘরুই বলেন, ‘‘পুরসার মানুষের একাধিক দাবিদাওয়া রয়েছে। তা মেটানোর চেষ্টা চলছে। আমরা চাই রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করা হোক।” জাতীয় সড়কের কর্তৃপক্ষের তরফে এক আধিকারিক বলেন, “পুরসা মাঝেরপুল ও পুরসা হাসপাতাল মোড় এই দুই জায়গায় আন্ডারপাস নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু পরে আরও দু’টি আন্ডারপাসের দাবি উঠেছে। আলোচনা চলছে। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Galsi

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।