ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যের ভূমি সচিব স্মারকি মহাপাত্র রূপনারায়ণপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা হিন্দুস্তান কেব্লসের জমি পরিদর্শন করলেন। শুক্রবারের ঘটনা। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে এই বিষয়টিকে বন্ধ কারখানার জমিতে রাজ্যের নতুন শিল্প স্থাপনের ইঙ্গিত বলে দাবি করেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। রাজ্য শিল্প স্থাপন করলে, তাকে স্বাগত জানানোর কথা জানিয়েছে সিটু। তবে বিজেপি বিষয়টিতে আমল দিতে চায়নি। ভূমি সচিব অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
ওই দিন দুপুরে সালানপুরে এসেছিলেন স্মারকি। তার পরে বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বন্ধ কারখানার অব্যবহৃত, পরিত্যক্ত জমি পরিদর্শন করেন। আসানসোল সার্কিট হাউসে বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সূত্রের খবর, ভূমি সচিব কেন্দ্রীয় ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের সঙ্গেও ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকের শেষে বিষয়টি নিয়ে স্মারকি বলেন, “শুনলাম অনেক দিন ধরে জমিটা ফাঁকা পড়ে আছে। তাই তা দেখতে এসেছিলাম।” তবে, রাজ্য সরকার এই জমি অধিগ্রহণ করে নতুন কোনও শিল্প স্থাপন করতে চলেছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি কোনও উত্তর দেননি।
২০১৭-য় কারখানা বন্ধের পরে, রূপনারায়ণপুর, ডাবর, সামডি-সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অর্থনীতিতে সমস্যা তৈরি হয়। কারখানা বন্ধের পরে থেকেই অ্যবহৃত ও পরিত্যক্ত জমিতে নতুন শিল্প তৈরির জন্য দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী থেকে বিভিন্ন শ্রমিক ও বণিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। গত সাত বছরে এলাকার আর্থিক পরিস্থিতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও নতুন শিল্প স্থাপনের দাবি এখনও রয়েছে।
সে সূত্র ধরে ভূমি সচিবের পরিদর্শনের পরে, আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের দাবি, “কেন্দ্র এখানে কারখানা গড়বে না। এই জমি রাজ্য সরকারের। তাই আমরা সেই জমি ফিরিয়ে নিয়ে সেখানে নতুন শিল্প গড়ার দাবি জানিয়েছি। আমাদের দাবিপূরণ করতে রাজ্য যে উদ্যোগী, ভূমি সচিবের জমি পরিদর্শনে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।” বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরীও। তাঁর বক্তব্য, “কেব্লসের জমি দখলের কথা আমরা রাজ্যকে জানিয়েছিলাম। কারখানার জমিতে কারখানা করার দাবি আমাদেরও। ভূমি সচিব পরিদর্শনের আসার পরে সে বিষয়ে যদি রাজ্য ইঙ্গিত করে থাকে, তা হলে তা ভালই।” কিন্তু বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “গত ১১ বছরে রাজ্যে একটিও শিল্প হয়নি। শিল্প সম্মেলনের নামে মোচ্ছব হয়েছে। কেব্লসের জমি পরিদর্শন তেমনই একটা ভেলকি। আমরা এর মধ্যে কোনও শিল্প স্থাপনের ইঙ্গিত দেখছি না।”
এ দিকে, ঘটনা হল, বছর তিনেক আগে এই জমি অধিগ্রহণ করে শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছিল প্রতীরক্ষা মন্ত্রক। তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন সত্যিই নতুন শিল্প স্থাপন হলে, এলাকার অর্থনীতি বাঁচবে বলে মনে করেন ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান ও সম্পাদক শচীন রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy