সোমবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জমিদাতারা। নিজস্ব চিত্র
জমি অধিগ্রহণের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি অণ্ডাল বিমাননগরীর নির্মাতা কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ করে সোমবার ‘অণ্ডাল জমিদাতা স্বার্থরক্ষা কমিটি’র নেতৃত্বে হাজারখানেক জমিদাতা বিমাননগরী চত্বরে ঢুকে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। প্রায় দিনভর সে কাজ বন্ধ থাকে।
জমিদাতাদের একাংশ অভিযোগ করেন, পাটসাওরা, আমলোকা, তামলা, খান্দরা, উখরা, আরতি, বাঙ্গুরি, ভাদুর, দুবচুরুরিয়া, দক্ষিণখণ্ড, অন্ডাল গ্রাম মৌজার ২,৩০০ একরের বেশি জমি অধিগ্রহণ করে ২০০৮-এ বিমাননগরী তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক বিঘার নীচে জমি অধিগৃহীত হয়েছে, এমন জমিদাতারা পাঁচ বছর ২৫ হাজার টাকা করে ‘বিশেষ ক্ষতিপূরণ’ পাবেন। তা ছাড়া, এক বিঘার উপরে জমি দিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের এক থেকে ছ’কাঠা জমি দেওয়া হবে। পাশাপাশি, বর্গাদারদের ক্ষতিপূরণ এবং খেতমজুরদের আড়াইশো দিনের মজুরি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। জমিদাতা পরিবারের মোট তিন হাজার সদস্যকে নানা কাজে নিয়োগের জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এ দিন জমিদাতাদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও কাজে নিয়োগ করা হয়নি। অন্য প্রতিশ্রুতিগুলিও অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ। যেমন, ১,৫০০ বর্গাদার, ছ’শো খেতমজুর কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি। পঙ্কজ হাজরা, কালাচাঁদ গড়াই, দেবাশিস ঘোষালদের ক্ষোভ, ‘‘গত বছর ২৭ নভেম্বর বিমাননগরী সংস্থার দফতরে বিক্ষোভ দেখালে জানানো হয়, ৪০ দিনের মধ্যে জমি পাবেন প্রায় ১,৪০০ জন। অথচ, জমি মেলেনি। অন্য প্রতিশ্রুতিগুলিও পূরণ করা হয়নি।’’
বিডিও (অণ্ডাল) ঋত্বিক হাজরা অবশ্য বলেন, ‘‘জমিদাতাদের অভিযোগ, দাবিগুলির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।’’ বিমাননগরী কর্তৃপক্ষের তরফে শান্তশীল দাস জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy