Advertisement
E-Paper

গোড়ালি ডোবা জল ঐতিহ্যের লালজি মন্দিরে

পুরাতত্ত্ব বিভাগের দেখভালে রয়েছে মন্দিরটি। কালনা রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের অন্য এলাকাতেও নিকাশির সমস্যা রয়েছে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, ভারী বৃষ্টি হলেই মন্দিরের চাতালে, পিছনের অংশে জল জমে যাচ্ছে।

মন্দির চত্বরে জমে রয়েছে নোংরা জল। নিজস্ব চিত্র

মন্দির চত্বরে জমে রয়েছে নোংরা জল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০০:১০
Share
Save

প্রায় তিনশো বছর আগে তৈরি হয়েছিল পঞ্চবিংশতি রত্ন মন্দিরটি। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার কাজ, চূড়াশৈলি এখনও বিস্ময় জাগায়। বছরের বেশির ভাগ সময় আসেন বিদেশি পর্যটকেরাও। তার পরেও বৃষ্টি হলেই নোংরা জলে ডুবে থাকে কালনার লালজি মন্দিরের একাংশ।

পুরাতত্ত্ব বিভাগের দেখভালে রয়েছে মন্দিরটি। কালনা রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের অন্য এলাকাতেও নিকাশির সমস্যা রয়েছে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, ভারী বৃষ্টি হলেই মন্দিরের চাতালে, পিছনের অংশে জল জমে যাচ্ছে। বৃষ্টি কমার দিন দু’য়েক পরেও জল নামছে না। ঘুরে দেখার পাশাপাশি সমস্যা হচ্ছে পুজো-সহ মন্দিরের দৈনন্দিন কাজেও। পুরোহিতদের একাংশের দাবি, মন্দিরের পাশে যে পুকুরে নিকাশির জল জমা হয়, সেটির হাল এতটাই খারাপ যে জল নামার বদলে উল্টে মন্দিরে ঢুকে যাচ্ছে।

শুক্রবার জন্মাষ্টমীর দিনে লালজি মন্দির ও তার মধ্যে থাকা গিরিধারী মন্দিরে ভিড় জমে দর্শনার্থীদের। জমা নোংরা জল দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন অনেকেই। প্রাচীন মন্দিরের জল জমে থাকলে টেরাটোকার কাজ নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করেন তাঁরা। মন্দিরে আলোর সমস্যা নিয়েও ক্ষোভ জানান অনেকে।

কালনা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির তলা দিয়ে নালার মাধ্যমে লালজি মন্দির ও তার আশপাশের এলাকার নিকাশির জল চলে যায় পাশের পুকুরে। সম্প্রতি ওই নালা মজে যাওয়ায় জল যাচ্ছে না, জানাচ্ছে পুরসভা। পুরসভার দাবি, সম্প্রতি লালজি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দু’টি পাম্প চালিয়ে বেশ কিছু জল বার করে সমস্যার সাময়িক সমাধান করা হয়েছে। ‘মাস্টার প্ল্যান’ করে, ওই মন্দির ও ১০৮ শিবমন্দির এলাকার নিকাশি সমস্যার পাকাপাকি সমাধানেরও আশ্বাস দেন পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ। পুরসভার দাবি, মাটির তলা দিয়ে নিকাশি ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটি রয়েছে। প্রয়োজনে পুরোটাই নতুন করে বাইরে দিয়ে করা হবে।

বছর ছ’য়েক আগে লালজি মন্দিরের আশেপাশে বেশ কিছু আধুনিক আলো লাগানো হলেও রাতে মন্দির ঘুরে দেখার সময় তা পর্যাপ্ত নয়, দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের। মহকুমা প্রশাসনের দাবি, আলোর ব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা চলছে।

Lalji Temple Kalna Janmastami

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}