চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সরকারের সংস্থা দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের (ডিপিএল) প্রায় দেড়শো অস্থায়ী কর্মী দু’মাস কাজ না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন। এই অভিযোগে ও দ্রুত বকেয়া মিটিয়ে নিয়মিত কাজের ব্যবস্থার দাবিতে মঙ্গলবার আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন ডিপিএলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাল। ডিপিএল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ ও দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
ডিপিএলের কোকআভেন প্ল্যান্ট বন্ধ হওয়ার পরে অনিশ্চয়তায় পড়েন ৩৭৬ জন অস্থায়ী কর্মী। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দেন, এক জনও কাজ হারাবেন না। তার পরে তাঁরা নিয়মিত কাজ পেয়েছেন। তবে আগের থেকে মাসে কম দিন তাঁরা কাজ পান বলে কর্মীরা জানান। গত ১ জানুয়ারি থেকে ডিপিএল-কে তিন বিদ্যুৎ সংস্থার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৩৭৬ জনের মধ্যে ২২১ জন রয়ে যান ডিপিএল-এর অধীনে। ১০২ জন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ও ৫০ জন বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার অধীনে রয়েছেন।
অভিযোগ, বণ্টন ও সংবহন সংস্থায় যাওয়া ওই অস্থায়ী কর্মীরা অক্টোবর ও নভেম্বর, এই দু’মাস কাজ পাচ্ছেন না। তাঁদের বেতনও বকেয়া রয়েছে। কর্মী সংগঠনটির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দু’মাস রোজগার না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকেরা। ডিপিএলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার জন্য কেউ কাজ হারাবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ডিপিএল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন ১৫২ জন ঠিকাকর্মী।’’
সংগঠনটির ডিপিএল ইউনিটের সম্পাদক উজ্জ্বল দাস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কারও চাকরি যাবে না বলার পরেও ডিপিএল কর্তৃপক্ষ কাজ না দিয়ে বসিয়ে দিচ্ছেন শ্রমিকদের।’’ সংগঠনের তরফে ‘কাজ হারানো’ অস্থায়ী কর্মীদের নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
ডিপিএলের জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র জানান, এ বিষয়ে সরাসরি এই সংস্থার কিছু করার নেই। ডিপিএল-এর অধীনে থাকা অস্থায়ী কর্মীরা নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন। বণ্টন ও সংবহন সংস্থার অধীনে থাকা কর্মীরাও যাতে কাজ পান সে বিষয়ে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ ওই দুই সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই কর্মীরা এক সময়ে সবাই ডিপিএলের হয়েই কাজ করেছেন । এখন পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার জন্য তাঁরা অন্য সংস্থায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু আমরা চাই, সবাই যেন নিয়মিত কাজ পান। ডিপিএল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। কারও কাজ যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy