জামবাদের খনিতে মৃত্যুর পরে জটলা। নিজস্ব চিত্র।
খনি-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক কর্মীর। মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া-সহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিক সংগঠনগুলি। বুধবার সকালে ইসিএলের জামবাদ কোলিয়ারির ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রঞ্জিত বাউরি (৪৫)।
কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, খনির যে যায়গায় ডুলি নামে (ডুলির সাহায্যে ভূগর্ভস্থ খনিগর্ভে খনিকর্মীরা ওঠানামা করেন) সেখানে একটি স্প্রিং লাগানো থাকে। সকাল ৭টা
নাগাদ খনির নীচে কাজ করছিলেন রঞ্জিত। সেই সময়ে ডুলির সঙ্গে নীচে থাকা স্প্রিংটি কিছুটা উপরে উঠে আসার পরে নীচে পড়ে যায়। সেটি রঞ্জিতের মাথায় পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিটু, এআইটিইউসি, কেকেএসসি-সহ সমস্ত শ্রমিক সংগঠন মৃতের পরিবারকে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ও তাঁর ছেলেকে চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে খনির উৎপাদন-সহ সমস্ত কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। সিটু নেতা প্রভাত বাউরি, এআইটিইউসি অনুমোদিত কোলিয়ারি মজদুর সভার সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস চক্রবর্তীদের দাবি, “খনির নীচে সুরক্ষা উপেক্ষিত। ডিরেক্টর জেনারেল অব মাইনস সেফটি-র নির্দেশিকা মেনে খনিতে রক্ষণাবেক্ষণ যে হয় না, এ দিনের ঘটনায় তা আবার প্রমাণ হল।” তাঁরা এ দিনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি, কেকেএসসি-র সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিংহেরও। আইএনটিসি নেতা তরুণ গঙ্গোপাধ্যায় জানান,
গত ১০ মে এই খনির অদূরে পরাশিয়া কোলিয়ারির ভূগর্ভে কয়লার চাঁই
পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক খনিকর্মীর। তাঁর দাবি, সুরক্ষার নামে প্রতি বছর কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হলেও, সুরক্ষা নিয়ে যে কর্তৃপক্ষের কোনও মাথাব্যথা নেই, তা স্পষ্ট।
খনি কর্তৃপক্ষ জানান, সংস্থার বিধি মেনেই মৃতের পরিবারকে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ও মৃতের ছেলেকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy