Advertisement
E-Paper

অযত্নে রানির ‘জামাই’ লালজির মন্দির, ক্ষোভ

সম্প্রতি লালজি মন্দিরের ছবি দেওয়া ডাকটিকিট প্রকাশ পায়। শহরবাসীর আক্ষেপ, মন্দিরটি নিয়ে যত্নশীল নয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ এবং রাজ্যের পর্যটন দফতর।

এমনই হাল কালনার লালজি মন্দিরের। নিজস্ব চিত্র

এমনই হাল কালনার লালজি মন্দিরের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ০৮:৫৬
Share
Save

ডাকটিকিটে স্থান পেয়েছে কালনা শহরের প্রাচীন লালজি মন্দির। অথচ, ঐতিহ্যের মন্দিরে আলো থেকে নিকাশি, সবই তথৈবচ। শহরবাসীর দাবি, বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় মন্দির চত্বরে। নাটমণ্ডপ থেকে খসে পড়ছে চুন-সুরকিও।

কালনা রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। লালজি মন্দির তার অন্যতম। মন্দিরের সামনের রয়েছে বড় নাটমণ্ডপ। মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কারুকাজ। শোনা যায়, বর্ধমান রাজ পরিবারের রানি ব্রজকিশোরী দেবী তাঁর রাধার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন শ্যামরাইয়ের। জামাই লালজির জন্যই এই মন্দির নির্মাণ করান তিনি। সারা বাংলায় যে ছ’টি ২৫ চূড়াবিশিষ্ট মন্দির রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এটি। পঞ্চবিংশতি রত্নচূড়ার মন্দিরটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। তিনশো বছরের পুরনো মন্দিরে প্রতি দিন পুজোপাঠ হয়। রথযাত্রায় ধুমধাম হয় সবচেয়ে বেশি।

সম্প্রতি লালজি মন্দিরের ছবি দেওয়া ডাকটিকিট প্রকাশ পায়। শহরবাসীর আক্ষেপ, মন্দিরটি নিয়ে যত্নশীল নয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ এবং রাজ্যের পর্যটন দফতর। এক দশক আগে রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের ভিতরে থাকা ১০৮ শিবমন্দির ও অন্যান্য মন্দির আলো দিয়ে সাজানো হয়। আকর্ষণ বাড়ে পর্যটকদের কাছে। তবে ওই আলো-ছায়ার খেলা থেকে বাদ পড়ে লালজি মন্দির। এলাকার বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা হলেই টিমটিমে আলো জ্বলে মন্দিরে। অতিবৃষ্টিতে হাঁটুসমান জলও জমে। ওই জল বেরোতে প্রচুর সময় লেগে যায়। টেরাকোটার কাজ, নাটমণ্ডপের গা থেকে চুনসুরকি খসে পড়া রুখতেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের এক আধিকারিক অভিযোগ মেনে নিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের অধীনে থাকা প্রাচীন নিদর্শনগুলি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দেখভালের দায়িত্ব থাকে। ওই মন্দিরে আলোর স্বল্পতা রয়েছে ঠিকই। মন্দিরটির চূড়ার কিছু অংশের কাজ ইতিমধ্যেই করেছি। আগামী অর্থবছরে নাটমণ্ডপে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ বৃষ্টির জল পাম্প করে বার করা হয় বলেও জানান তিনি।

কালনার উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েল বলেন, ‘‘ডাকটিকিটে লালজি মন্দিরে জায়গা পাওয়া খুবই গর্বের। কালনার বেশ কয়েকটি প্রাচীন নিদর্শন বিশেষ ভাবে আলোয় সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের ভিতরে থাকা মন্দিরগুলিও। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে লালজি মন্দিরে আলোর সমস্যা থাকবে না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalna Ancient Temple

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}