প্রতীকী ছবি।
স্কুল ছুটি হয় বিকেল ৪টেয়। হুটোপাটি করে ‘পুলকারে’ উঠতে গিয়ে পড়ে যায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। গাড়ির কাচ ভেঙে হাতে ঢুকে যায় তার। অভিযোগ, ওই ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরেও বিষয়টি গুরুত্ব দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলকার চালকের অনুরোধে স্কুলের এক কর্মী কোনও রকমে ওই ছাত্রীকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ফেলে পালায় বলে অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘অমানবিক’ ঘটনার বিহিত চেয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন ওই বালিকার বাবা নিত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। কাটোয়ার ঘোষহাট এলাকার ওই বেসরকারি স্কুলের তরফে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাওয়া হয়নি।
কাছারি রোডের বাসিন্দা নিত্যনারায়ণবাবুর অভিযোগ, অনেক দিনই যানজটে আটকে বা অন্য ছাত্রছাত্রীদের নামাতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরি হয় মেয়ের। এ দিনও তেমন হচ্ছে ভেবে স্কুলে বা পুলকারের চাললকে ফোন করেননি তাঁরা। পরে স্কুলের তরফে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর মেয়ের ‘সামান্য’চোট লেগেছে। কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যদিও হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন হাতের শিরা কেটে গিয়েছে ওই ছাত্রীর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ডান হাতের শিরা কেটে গিয়েছে ওই ছাত্রীর। প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, স্কুলের গেটের কাছে এক ছাত্রীর চোট লাগার খবর পেয়ে কোনও ব্যবস্থা করা হল না কেন। পুলকারে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। নিত্যনারায়ণবাবু বলেন, ‘‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। রক্তক্ষরণ, কান্না দেখেও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি স্কুল। পুরো ঘটনাটিই অত্যন্ত অমানবিক।’’ কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ঘটনা অমানবিক। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলেই স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ মহকুমাশাসক সৌমেন পাল জানান, ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy