প্রতীকী ছবি।
শহরের বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ‘বেনিয়মে’র কথা আগেই জানিয়েছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেন কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পারুলিয়ার বাসিন্দা প্রবীর বিশ্বাস সম্প্রতি অভিযোগ করেন, ২ সেপ্টেম্বর সর্পদষ্ট হয়ে তিনি ভর্তি হন প্রতাপনগর হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে পরের দিন কালনা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেন। রিপোর্টে ‘সিরাম সোডিয়াম’ বেশি এবং ‘সিরাম পটাশিয়াম’ কম থাকায় মস্তিস্ক ও কিডনিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন চিকিৎসকেরা। প্রথমে শক্তিনগর, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। প্রবীরবাবুর দাবি, ‘‘বর্ধমানের চিকিৎসকেরাও আমার কিডনির বিপদের কথা ভেবে দ্রুত রেফার করেন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে ফের পরীক্ষা করে দেখা যায়, আগের রিপোর্ট ভুল ছিল।’’ তাঁর দাবি, ফিরে ওই ল্যাবরেটরিতে কথা বলতে গেলে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা হয়। অভিযোগপত্রে প্রবীরবাবুর দাবি, ‘যে ভাবে আমাকে দুশ্চিন্তায় ফেলা হয়ে ছিল তাতে চরম বিপদ হতে পারত। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছোটাছুটিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
মঙ্গলবার ওই ল্যাবরেটরির তরফে রফিক শেখ দাবি করেন, ‘‘নবদ্বীপ থেকে ওই রক্ত পরীক্ষার জন্য আমাদের কেন্দ্রে এসেছিল। একটি ক্ষেত্রে রিপোর্ট কিছুটা অস্বাভাবিক এসেছিল। তবে আমাদের দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও একই রিপোর্ট আসে। যা রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে তাই লেখা হয়েছে।’’
পুরপ্রধানের দাবি, ‘‘মানুষের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার রয়েছে। অভিযোগের চিঠি, ওই রিপোর্টটিও পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে।’’ মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চিত্তরঞ্জন দাস জানান, বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy