গ্রেফতার জিতেন্দ্র তিওয়ারি। — ফাইল চিত্র।
আসানসোলে কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেই কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে জিতেন্দ্রকে। ওই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, জিতেনের স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ মোট ৩ কাউন্সিলরের নামেও।
সেই মামলার জেরে চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জিতেনের ফ্ল্যাটে যান দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা। কিন্তু ফ্ল্যাট তালাবন্ধ দেখে তাঁরা কয়েক বার নোটিসও দিয়ে আসেন। তবে তিওয়ারি দম্পতির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এই আবহে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষাকবচ দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি, তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশও দেন। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি পাল্টা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা চৈতালির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরই হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্র এবং চৈতালি। কিন্তু বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেই একই আবেদন নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন জিতেন। শুক্রবার তাঁর আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তার মাঝেই গ্রেফতার হলেন আসানসোলের ওই বিজেপি নেতা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর শিবচর্চা এবং কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল আসানসোলে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। শুভেন্দু ওই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কম্বল নেওয়ার জন্য শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। আহত হন বেশ কয়েক জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy