অসম্পূর্ণ জেটি। নিজস্ব চিত্র
স্থায়ী জেটির অভাবে ভেসেল পরিষেবা থমকে কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাটে। পরিবহণ দফতরের দু’টি ভেসেল মাসের পর মাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাধ্য হয়ে নৌকায় পারাপার চলছে। যাত্রীদের অভিযোগ, নিরাপদ পারাপারের জন্য ভেসেল দিলেও তা কাজে লাগছে না। নদিয়া জেলার বল্লভপাড়ার দিকে জেটি না থাকায় ভেসেলগুলি চালানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। ভেসেল না চলার কথা স্বীকার করছেন ইজারাদার থেকে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের সঙ্গে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের একাংশের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম উপায় ভাগীরথীর কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাট। সুষ্ঠু ভাবে যাত্রী পারাপারের জন্য বছর দেড়েক আগে ভেসেল দেওয়া হলেও বল্লভপাড়ার দিকে স্থায়ী জেটি না থাকায় সমস্যা দেখা দেয়। নদীর পাড়ে বড় নৌকা দিয়ে অস্থায়ী জেটি তৈরি করে কয়েক দিন চালানো হলে তাতে ভেসেলের ক্ষতি হয় বলে পুরসভা সূত্রে জানা যায়। বল্লভপাড়ায় স্থায়ী জেটির জন্য ২০১৯ সালের অগস্টে কাটোয়া পুরসভা রাজ্য জলপথ পরিবহণ দফতরে আবেদন করে। পুরসভার আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকার জেটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, ৮৪ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয় এই কাজের জন্য। বল্লভপাড়ায় নদী তীরবর্তী এলাকায় জমি চিহ্নিত করে কাজও শুরু হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সেই কাজ বন্ধ আছে।
নিত্যযাত্রী শুকদেব ঘোষ, মলয় সাহা, কিরণ দত্তেরা বলেন, ‘‘বছরখানেকের উপরে ভেসেল দাঁড়িয়ে আছে, আর যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে নৌকাতেই যাতায়াত করছেন। আমাদের দাবি, থমকে থাকা জেটি নির্মাণের কাজ অবিলম্বে শুরু করে ভেসেল পরিষেবা চালু করা হোক।’’ ফেরিঘাটের ইজারাদার অলোক ঘোষেরও দাবি, ‘‘বল্লভপাড়ায় জেটি তৈরি করা হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ভেসেল চালু হলে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য অনেক বাড়বে।’’
কাটোয়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বল্লভপাড়ার দিকে জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। চলতি মাসেই কাজ শুরু হওয়ার কথা, জানান পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy