E-Paper

জামাইষষ্ঠীর বাজারে জোগান কম মাছের, টান পকেটে

জামাইদের পাতে বিভিন্ন রকমের পদ তৈরি করে খাওয়ানোর প্রথা রয়েছে জামাইষষ্ঠীর দিন। তবে এই দিনটিতে বাজার করতে গিয়ে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ে।

মাছের পসরা।  ছবি: বিকাশ মশান।

মাছের পসরা। ছবি: বিকাশ মশান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ০৮:৫৪
Share
Save

বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী। আর সেই উপলক্ষে ফল, মাছের বাজারে বুধবার ভিড় দেখা গেল জেলার বিভিন্ন বাজারে। পকেট দেখে বাজার করছেন অনেকে।

এ দিন সকাল থেকেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে ভিড় দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে মাছের বাজারে। এই সময় এমনিতেই মাছের দাম চড়া থাকে। তবে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা মাছেরও দাম ভালই রয়েছে।

জামাইদের পাতে বিভিন্ন রকমের পদ তৈরি করে খাওয়ানোর প্রথা রয়েছে জামাইষষ্ঠীর দিন। তবে এই দিনটিতে বাজার করতে গিয়ে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ে। মাছ, মাংস, ফলের বাজার তো আছেই, তার সঙ্গে বিভিন্ন রকম আনাজও বাজার করতে হয়। তবে এই সময় মাছ, মাংসের বাজারেই বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। বুধবার দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেল, মাছের দাম বেশ চড়া। ইলিশ, গলদা চিংড়ি, পাবদা, পমফ্রেটের দাম অনেকটাই বেশি। দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে এ দিন ইলিশ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৭০০ থেকে ১৩০০ টাকায়। গলদা চিংড়ি সাইজ অনুযায়ী দাম ৬৫০-৯০০ টাকা প্রতি কেজি। পমফ্রেটও ৭০০-১১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। পাবদার কেজি ৪০০-৬০০ টাকার মধ্যে রয়েছে এ দিন। এ ছাড়া ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের গঙ্গার কাতলা (গোটা) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে। আর সেই মাছ কেটে নিলে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি। দেশি রুই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি। এ ছাড়া দেশি কাতলা ২০০-৩০০ টাকা প্রতি কেজি। দুর্গাপুরে খাসির মাংস ৭০০ টাকা কেজি এবং মুরগির মাংস ২০০-২৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেনাচিতির মাছ ব্যবসায়ী কালীদাস ধীবর বলেন, “এ সময় মাছের জোগান খুব বেশি থাকে না। তাই দাম একটু বেশি হয়। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বাজার বেশ ভাল।” একই অবস্থা দুর্গাপুর স্টেশন বাজারেরও। সেখানকার ব্যবসায়ী রাকেশ মাহাতো বলেন, “বাজারে মাছের চাহিদা রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালেও বহু মানুষ বাজার আসবেন।” এক ক্রেতা সমর পাল বলেন, “জামাই আসবে। সে জন্য আগে ভাগে বাজার করে নিচ্ছি। কিন্তু মাছের দামে কিছুটা ভয় লেগে যাচ্ছে।”

তবে ফলের বাজার খুব বেশি চড়েনি বলে দাবি বিক্রেতাদের। দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে লিচু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আম ৮০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তরমুজের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা ও কলা ৫০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। বেনাচিতির এক ফল বিক্রেতা মনসারাম সাউ বলেন, “জোগান বেশ ভালই রয়েছে। দাম খুব একটা বাড়েনি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jamaishasthi Kanksa

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।