ছবি: সংগৃহীত।
প্রত্যেকটি সংগঠনের সাধারণ দাবি, বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। এই দাবিতে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে শামিল হয়েছে তারা। এর পাশাপাশি কোনও কোনও সংগঠনের কিছু বাড়তি দাবিও রয়েছে। তবে যৌথ মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলনে তা প্রকাশ করে না তারা। কিন্তু শনিবার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের (এএসপি) বাঁচানোর জন্য যৌথ মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচিতে আইএনটিইউসি নিজস্ব দাবি-সহ ব্যানার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল দুর্গাপুরে।
এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের গোড়া থেকে আন্দোলন করছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। তিন বার সময়সীমা বাড়ালেও সেলের ডাকা গ্লোবাল টেন্ডারে সাড়া দেয়নি কোনও সংস্থা। লোকসভা ভোটের পরে ৪ জুলাই সেল নতুন টেন্ডার ডাকে। ফের আন্দোলনে নামে শ্রমিক সংগঠনগুলি। শনিবার সিটু, আইএনটিইউসি-সহ মোট আটটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের তরফে মিছিল করে দুর্গাপুরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’জায়গায় অবরোধ করা হয়। মিছিলের সামনে দেখা যায় একটি ব্যানার, যাতে এএসপি-কে বাঁচাতে ডিএসপি-র (দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের) সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তা নিয়েই আপত্তি তুলেছে সিটু।
সিটু বরাবর বিলগ্নিকরণের প্রস্তাব বাতিল করে এএসপি-কে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর দাবি জানিয়ে আসছে। আইএনটিইউসি আবার এএসপি-কে বাঁচাতে অন্য নানা উপায়ের পাশাপাশি প্রয়োজনে ডিএসপি-র সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবেরও পক্ষে। শনিবার মিছিলের সামনে সেই বার্তা-সহ সবুজ রংয়ের ব্যানার নজরে আসে। যৌথ মঞ্চের তরফে আয়োজিত মিছিলে কোনও বিশেষ সংগঠনের বার্তা দেওয়া ব্যানারের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় শ্রমিক মহলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটুর এক নেতার বক্তব্য, ‘‘এ ভাবে কোনও সংগঠনের নিজস্ব মত যৌথ মঞ্চের কর্মসূচিতে প্রকাশ করা ঠিক নয়। তা থেকে মতান্তরের সম্ভাবনা তৈরি হয়।’’ সিটু নেতা তথা দুর্গাপুর পূর্বের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় বলেন, ‘‘আমরা বিলগ্নিকরণের প্রস্তাব বাতিল করে এএসপি-তে বিনিয়োগ, আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কারখানার পুনরুজ্জীবনের পক্ষে।’’
আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি বিকাশ ঘটক অবশ্য বলেন, ‘‘সিটুর আপত্তির কথা জেনেছি। এএসপি বাঁচাতে ডিএসপি-র সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া একমাত্র পথ নয়। বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ রয়েছে। তার পরেও দরকার হলে তা করা যেতে পারে।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘তাতে উৎপাদন খরচ কমবে, আয় বাড়বে। এমনিতেই তো দুই সংস্থার ‘নন ওয়ার্কস’ বিভাগগুলি মিশে গিয়েছে।’’ সিটু নেতা সন্তোষবাবুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, দু’টি সংস্থা মিশিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাল ফল কিছু হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy