দু’দফায় দেখা গেল এই দু’রকম পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির তরফে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। অথচ দু’বার দু’জনের নামে পোস্টার পড়ে গিয়েছে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে। কয়েক দিন আগে ‘বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ মণ্ডলকে’ ভোট দিন বলে পোস্টার পড়েছিল। এ বার জেলার টিচার্স সেলের আহ্বায়ক রাধাকান্ত রায়কে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টার পড়েছে ওই বিধানসভার নানা এলাকায়। এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে দল। তৃণমূলের দাবি, দলে শৃঙ্খলা না থাকা ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রমাণ এই ঘটনা।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার জন্য ওই দু’জনেই দলের কাছে আবেদন করেছেন। তাঁরা ছাড়াও আরও আবেদন জমা পড়েছে। তবে দল এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এর মধ্যেই প্রথমে ২৮ নম্বর মণ্ডল সভাপতি প্রদীপ মণ্ডলকে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী দাবি করে পোস্টার পড়ে রাইপুর, কাশিয়ারা গ্রামে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন দলের বিক্ষুব্ধরাও। সেই রেশ কাটার আগেই কৃষি খামার সংলগ্ন হিরাগাছি এলাকায় বাঁকা সেতুর ধারে রাধাকান্ত রায়কে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী দাবি করে একাধিক পোস্টার পড়েছে।
রাধাকান্তবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘এই ধরনের কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়। তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এ সব অসভ্যতামির সঙ্গে বিজেপির কেউ যুক্ত নয়।’’ প্রদীপবাবুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের একটা অংশ এ সব করে মানুষকে তাতানোর চেষ্টা করছে।’’
পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ নতুন নয়। দলের জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুরও হয় এর জেরে। তদন্তে নেমে আট জনকে শো-কজ করা হয়। দলের রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলা সভাপতি বদলও হয় ভোট ঘোষণার দিন। এক বিক্ষুব্ধ নেতা-সহ তিন জনকেও এক বছরের জন্যে সাসপেন্ড করা হয়। তার মধ্যে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার একজন মণ্ডল সভাপতিও রয়েছেন। তার মধ্যেই এই ঘটনায় দলের মুখ পড়ছে, মনে করছেন কর্মীদের একাংশ।
বর্ধমান উত্তরের তৃণমূলের বিধায়ক নিশীথ মালিকের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের কেউ নয়, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই প্রার্থী নিয়ে পোস্টার পড়ছে। শৃঙ্খলাহীন দল বলেই এটা সম্ভ।’’ বিজেপিতে ‘বিক্ষুব্ধ’ বলে পরিচিত কয়েকজনেরও অভিযোগ, ‘‘আমরা দলের কাছে গুরুত্ব ও কাজ করার সুযোগ দাবি করে বর্ধমানে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করা হয়, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আরএসএসের কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন একই কেন্দ্রে দু’জনের নামে পোস্টার পড়ছে। দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে এতে?’’
সদ্য দায়িত্ব পাওয়া দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) অভিজিৎ তা বলেন, ‘‘এ ভাবে পোস্টার মেরে বিজেপি প্রার্থী হওয়া যায় না। দলীয় নেতৃত্ব প্রকাশ্যে ঘোষণা করলে তবেই তিনি প্রার্থী বলে বিবেচিত হবেন। এটা কারা করেছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy