প্রতীকী ছবি।
জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই রাস্তা তৈরি হয়েছিল কংগ্রেস আমলে। ৪৫ বছর পরে, ওই মালিকদের জমির দাম দিতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। জমির দাম ঠিক হয়ে গেলে, পূর্ত দফতরের কাছে টাকা চেয়ে সরকারি স্তরে চিঠি দেবে জেলা প্রশাসন। বিডিও (ভাতার) শুভ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি জেলা স্তরে দেখা হচ্ছে।’’
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, ভাতারের কংগ্রেস বিধায়ক তথা সে আমলের পূর্তমন্ত্রী প্রয়াত ভোলানাথ সেন ১৯৭৩ সালে ভাতার দমকলের সামনে থেকে ভাতার-সামন্তী রাস্তাটি তৈরি করান। জমি অধিগ্রহণ ছাড়া, চার কিলোমিটারের মতো রাস্তাটিতে ১৯৭৫ সাল থেকে যানবাহন চলতে থাকে। কংগ্রেস সরকার চলে যাওয়ার পরে, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে পূর্ত দফতরের ‘মাথা ব্যথা’ ছিল না। একাধিক বার রাস্তাটি সংস্কারও করা হয়।
বাম আমলের শেষ দিকে গোটা রাজ্য জুড়ে জমি-আন্দোলন চলার সময়ে ভাতার-সামন্তী রাস্তার জমিদাতারাও ক্ষতিপূরণ চেয়ে আন্দোলনে নামেন। বামফ্রন্ট সরকার জমি অধিগ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। পুরনো কাগজপত্র বার করা হয়। কিন্তু ৩৪ বছরের সরকারের আমল শেষ হওয়ায় বিষয়টি ফের ধামাচাপা পড়ে যায়। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ঘোষণা করে, তাঁরা জমি অধিগ্রহণের নীতিতে বিশ্বাসী নয়। কিছু দিন পরে, তৃণমূল সরকার জানায়, উন্নয়নের জন্যে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি জমি কিনতে তাঁরা আগ্রহী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ওই রাস্তার উপরে থাকা বিজয়পুর, কুবাজপুর, পলসোনার বেশ কিছু চাষি নিজেদের ভাতার-সামন্তী রাস্তার জমিদাতা দাবি করে চিঠি পাঠান। তাঁদের দাবি, রাস্তার জন্য কারও ১০ শতক, কারও ৭৫ শতক পর্যন্ত জমি চলে গিয়েছে। ক্ষতিপূরণ মেলেনি বলে অনেক পরিবারের একটা প্রজন্মকে আর্থিক অনটনে কাটাতে হয়েছে। ব্লক, জেলা থেকে কলকাতার পূর্ত দফতর পর্যন্ত গিয়ে ওই সব চাষিরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। সিদ্ধান্ত হয়, অধিগ্রহণ নয়, ওই রাস্তার জমি সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে কেনা হবে।
জেলা প্রশাসনের দাবি, ফের নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, ৪৭ একর জমিতে ওই রাস্তা তৈরি হয়েছে। দু’শো জনেরও বেশি চাষির নাম জমিদাতার তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে। তাঁরা স্বেচ্ছায় সরকারকে জমি বিক্রি করতে ইচ্ছুক, সে রকম একটি দাবিপত্র পূর্ত দফতরের (সড়ক) বর্ধমান হাইওয়ে ডিভিশন ৩-এর (উত্তর) দফতরে জমা পড়ে। ওই দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দীপনারায়ণ শিল বলেন, ‘‘জেলা স্তরে একটি বৈঠক হয়েছে। অধিকাংশ চাষি সরকারকে জমি বিক্রি করতে রাজি হয়েছেন। প্রশাসনিক কাজকর্ম চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy