পানাগড় সেনাছাউনিতে। ছবি: সেনাবাহিনীর সৌজন্যে
দু’দিন ধরে পানাগড় সেনাছাউনি পরিদর্শন করলেন সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। সেনাছাউনির শীর্ষ কর্তা ও সেনাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি।
সেনাছাউনি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পানাগড়ে আসেন কম্যান্ডার। তাঁকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর ব্রহ্মাস্ত্র কোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ গড়ে তুলছে সেনাবাহিনী, যা ‘ব্রহ্মাস্ত্র কোর’ হিসাবে পরিচিত। শত্রু দেশে আক্রমণ চালিয়ে এলাকার দখল নিতে পারদর্শী এই বাহিনী। ভারত-চিনের দীর্ঘ সীমান্ত এলাকায় অধিকাংশই পার্বত্য অঞ্চল। পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধে সক্ষম প্রায় ৯০ হাজার সেনা নিয়ে ব্রহ্মাস্ত্র কোর গড়ার প্রক্রিয়া চলছে কয়েক বছর ধরে। প্রথমে রাঁচিতে এই কোর তৈরি হয়। পরে পানাগড়ে তা নিয়ে আসা হচ্ছে। সে জন্য বিশেষ পরিকাঠামো গড়া হয়েছে। বাহিনীকে সরঞ্জাম-সহ দ্রুত দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দিতে পানাগড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস’ বিমান ঘাঁটি।
সোমবার আর্মি কম্যান্ডারের সামনে ব্রহ্মাস্ত্র কোরের প্রস্তুতি নিয়ে সামগ্রিক ছবি তুলে ধরেন কোরের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং। কম্যান্ডার সেনাছাউনির অন্য বিভাগগুলিও পরিদর্শন করেন, কথা বলেন বিভাগের সংশ্লিষ্ট সেনাকর্তাদের সঙ্গে। সেনাবাহিনীকে সব সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি। সাধারণ সেনাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করে আলাদা ভাবে কথা বলেন তিনি। সেনাছাউনি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাকর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতে এ ভাবেই দেশের সেবা করার আহ্বান জানান আর্মি কম্যান্ডার। ২০১৮ সালের অগস্টে ব্রহ্মাস্ত্র কোরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পানাগড়ে এসেছিলেন তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে পানাগড় সেনাছাউনি পরিদর্শন করেন ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy