সিলিন্ডার হাতে পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই রান্নার গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছিল বর্ধমানের সিংহ পরিবারের। গৃহিণীর সন্দেহ, সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমাণ কম ছিল। এ নিয়ে নানা স্তরে অভিযোগ করেন বাড়ির কর্তা অঞ্জন সিংহ। তবে উল্টে সিলিন্ডার ওজন করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা ইন্ডেন। তা ওজন করানোর পর জানা যায়, মহার্ঘ রান্নার গ্যাসে ছ’কেজি জল মেশানো রয়েছে। সেই পরিমাণ গ্যাসের মূল্য ফেরতে পেলেও অন্য কারও সঙ্গে যাতে এমন না হয়, তাই চাইছেন অঞ্জন।
বর্ধমান শহরের নীলপুরের বাসিন্দা অঞ্জনের স্ত্রী আঁখি সিংহ জানিয়েছেন, এক মাস আগে ৮২৪ টাকা দিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার হাতে পেয়েছিলেন। তবে কিছু দিন পর রান্নার সময় হঠাৎই গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছিল। যদিও সিলিন্ডারটি তখনও অস্বাভাবিক ভারী। তখনকার মতো পড়শির থেকে একটি সিলিন্ডার চেয়ে এনে রান্না সারেন। তবে সন্দেহ হয়, সিলিন্ডারে গ্যাসের বদলে অন্য কিছু রয়েছে। এ নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর থেকে ইন্ডেনের বর্ধমান শাখা— সবেতেই অভিযোগ করেন অঞ্জন। তবে সদুত্তর পাননি। উল্টে ইন্ডেনের পরামর্শ, ‘‘এ বার থেকে সিলিন্ডার নেওয়ার সময় ওজন করিয়ে নেবেন।’’
ওই সিলিন্ডারটি ডেলিভারির সময় তা ওজন করান অঞ্জন। সে সময় ডেলিভারি ম্যান জানান, সিলিন্ডারে ছ’কেজি জল রয়েছে। দিন পাঁচেক আগে ওই পরিমাণ গ্যাসের ২২৫ টাকা হাতে পেয়েছেন অঞ্জন। তবে অন্য ক্রেতা যাতে ভুক্তভোগী না হয়, তা চাইছেন তিনি।
বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা গ্যাস এজেন্সি অঞ্জনের ডিলার। তার মালিক জগন্নাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘ক্রেতাকে ছ’কেজি গ্যাসের দাম ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে এমন ঘটনা খুব কম হয়। সিলিন্ডারের নিরাপত্তার জন্য মাঝে মধ্যে তা হট ট্রিটমেন্টে পাঠানো হয়। সেখানেই হয়তো সিলিন্ডারে জল ঢুকে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy