সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে মুদি দোকানে ভিড়, বর্ধমান শহরের । নিজস্ব চিত্র
শীর্ষ স্থানীয় এক পুলিশ কর্তা-সহ এক দিনে ৩৫ জন করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। শনিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ওই পুলিশ কর্মী, তাঁর পরিজনেরা ছাড়া, বর্ধমান শহরে ন’জন ও মঙ্গলকোটে ন’জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা বেড়ে হয়েছে ৮০টি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু নিয়ম জারি করতে চলেছে প্রশাসন। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো আক্রান্ত ওয়ার্ডগুলিতে ‘লকডাউন’ আরও কঠোর ভাবে বলবৎ করা হবে। পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হবে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, ‘‘এক পুলিশ-কর্তা এবং তাঁর পরিবারের সংক্রমণ হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান শহরের ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে। ওই তিনটি ওয়ার্ড ছাড়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আংশিক ‘লকডাউন’ করা হয়েছে। বাজার, দোকান, সরকারি, বেসরকারি দফতরও বন্ধ থাকবে এই এলাকায়। এর সঙ্গেই আরবি ঘোষ রোড, রামকৃষ্ণ রোডের ফ্রেজার অ্যাভিনিউ থেকে আরবি ঘোষ রোড জংশন, পাওয়ারহাউস পাড়া থেকে আরবি ঘোষ রোডের একাংশ, লোকো কলোনির কালনা রোডের দক্ষিণ অংশের পুরোটা গণ্ডিবদ্ধ থাকবে আগামী সাত দিনের জন্য।
শহরের সুপার মার্কেটগুলিও এক দিন অন্তর খোলা থাকবে। এ ছাড়া, সোনাপট্টি বাজার, চাঁদনি চক, নতুনগঞ্জ বাজার, রাধাবল্লভ মিষ্টান্ন বাজার থেকে রানিগঞ্জ বাজার মোড় থেকে পুলিশ লাইনের কাছে জেভিয়ার্স রোড বাজার, বর্ধমান আরামবাগ রোডের বীরহাটার কাছের বাজার ও বিবেকানন্দ কলেজের কাছের বাজারে এক দিন ডান দিকের দোকান ও অন্য দিন বাঁ দিকের দোকান খোলা থাকবে। বড়নীলপুর, ছোটনীলপুরে তিন দিন আনাজ বাজার ও তিন দিন মাছের বাজার খোলা থাকবে। রবিবার বাজার বন্ধ থাকবে বলে জানান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য পিন্টু বণিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy