Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
weeding

বর্ধমানের কঙ্কালীতলায় ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী একসঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে

গণবিবাহ হলেও এ কিন্তু যেমন তেমন করে বিয়ে নয়। একেবারে মেলার মতো মাঠ সাজানো হয়েছিল বিয়ে উপলক্ষে।

গণবিবাহ হলেও এ কিন্তু যেমন তেমন করে বিয়ে নয়। একেবারে মেলার মতো মাঠ সাজানো হয়েছিল বিয়ে উপলক্ষে। নিজস্ব চিত্র

গণবিবাহ হলেও এ কিন্তু যেমন তেমন করে বিয়ে নয়। একেবারে মেলার মতো মাঠ সাজানো হয়েছিল বিয়ে উপলক্ষে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৩১
Share: Save:

১০১ জোড়া পাত্রপাত্রীর গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হল বর্ধমানের কঙ্কালীতলায়। বৃহস্পতিবার রাতে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতা খোকন দাস এই গণবিবাহের আয়োজক। এই নিয়ে ৭ বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছেন তিনি।

তবে গণবিবাহ হলেও এ কিন্তু যেমন তেমন করে বিয়ে নয়। একেবারে মেলার মতো মাঠ সাজানো হয়েছিল বিয়ে উপলক্ষে। রীতিমতো জাঁকজমকপূর্ণ ছিল এই অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সাজোসাজো রব ছিল এলাকায়। কনেপক্ষ ছিল কঙ্কালীতলায়। এই ১০১ জোড়ার মধ্যে ৯ জোড়া আবার মুসলিম পাত্রপাত্রী। বাকি সবাই হিন্দু। নিজের নিজের ধর্মীয় রীতি মেনেই সব লোকাচার-সহ এই বিয়ে হল।

বরপক্ষ হাজির ছিল টাউন হলের মাঠে। দু’জায়গায় ম্যারাপ বেঁধে এলাহি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল দুই পক্ষের জন্যই। সন্ধ্যের আগেই টোটো চেপে সারি দিয়ে ১০১ জন বর হাজির হলেন। কনে সাজানোর পালা তত ক্ষণে শেষ। রাতে বর এবং কনেপক্ষের জন্যও ছিল খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত।

রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, তিন বিধায়ক নিশীথ মালিক, রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, নেপাল ঘড়ুই-সহ আরও অনেকে এই গণবিবাহের সাক্ষী রইলেন। এ ছাড়া ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের লজ্জা’! নড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে তোপ রাজ্যপালের

আয়োজক খোকন দাস জানান, “আমরা একটি রাজনৈতিক দল করি। আমাদের নেত্রী মানুষের জন্য কাজ করেন। আমাদেরও তাই করতে বলেন। তাই এই ১০১ জোড়া অসহায় বোনের পাশে দাঁড়ালাম।” কী কী পেল ওরা এই বিয়েতে? তালিকাটা বেশ লম্বা। পাত্রীদের প্রত্যেকের জন্য ছিল নাকের গয়না। ছেলেদের আংটি, ঘড়ি। ছেলে মেয়ে দু’তরফের সব জামাকাপড় থেকে জুতো বা সাজার জিনিস। এতেই শেষ নয়। খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, সেলাই মেশিন, সাইকেলও ছিল। ছিল একটি ২৪ ইঞ্চি এলসিডি টেলিভিশন। এ ছাড়া দেড় লক্ষ টাকার জীবন বিমা। এক মাসের জীবনধারণের মতো খাবার জিনিসপত্র। কুড়িটা করে বাসনের সেট। কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কার্যত এটাই শহরের প্রান্তিক এলাকা কাঞ্চননগরে সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন: নড্ডার কনভয়ে হামলার জবাব দিতে রাজ্যে আসছেন অমিত

অন্য বিষয়গুলি:

weeding burdwan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy